Saturday, April 20, 2024

আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন।

আজ ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ সালের ৭ মে) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৬১ বছর পেরিয়ে গেল তাঁর জন্মের, লোকান্তরিত হয়েছেন তা-ও বহু বছর হতে চলল; কিন্তু বাঙালির জীবন ও মানসে তাঁর উপস্থিতি প্রতিমুহূর্তে এতই দেদীপ্যমান যে মনেই হয় না তিনি নেই। তাঁর জন্মদিন বাঙালির কাছে পরিণত হয়েছে আনন্দ–উৎসবের দিনে।”পৃথিবীতে পাঁচটি মহাসাগর, ‍কিছুটা সাবালক হয়ে জানলাম আরও একটি সাগর আছে, নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
‘কবি গুরু তোমার পানে চাহিয়া আমাদের বিস্ময়ের সীমা নাই’।
‘হাত পাতিয়া জগতের কাছে আমরা নিয়াছি অনেক কিন্তু তোমার হাত দিয়া দিয়াছিও অনেক’
আট বছর বয়স থেকে শুরু করে লিখে গেছেন ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত।
• ৫২কাব্যগ্রন্থ
• ৩৮নাটক
• ১৩উপন্যাস
• ৩৬প্রবন্ধ
• ৯৫ছোটগল্প
• ২০০০গান
সূত্র: উইকিপিডিয়া
আনুষ্ঠানিকতা নয় প্রয়োজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ধারণ, আত্মস্থ করণ, চর্চা ও চিন্তা চেতনা অনুধাবন বাস্তবায়ন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়।

১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। উইকিপিডিয়া সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যাবতীয় মানবিক আবেগ, অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা, অভিব্যক্তির অতুলনীয় প্রকাশ ঘটেছে রবীন্দ্রনাথের রচনায়। বাঙালির সব আন্দোলন-সংগ্রামে, সমস্যা–সংকটে তাঁর গান, কবিতা জুগিয়েছে সাহস ও প্রেরণা। সবকিছু ছাপিয়ে আছে তাঁর শান্তি, মানবকল্যাণ ও শ্রেয়োবোধের প্রতি সুগভীর প্রত্যয় ও নিরন্তর কামনা। একেই তিনি নানা রূপে ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর বহুমাত্রিক সৃজনকর্মে। সাহিত্যে তাঁর নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তি বাংলা ভাষা ও বাঙালির জন্য বয়ে এনেছিল বিশ্বের গৌরব। যে গীতাঞ্জলির জন্য তাঁর এই নোবেল পুরস্কার অর্জন, সেই গীতাঞ্জলি এবং আরও অনেক বিখ্যাত রচনা বর্তমান বাংলাদেশের মাটিতেই। তাঁর লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ রোববার রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করবে এ দেশের মানুষ।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here