উজ্জল হোসেন, পাংশা: আম পারা কে কেন্দ্র করে পাংশায় এক শিশুশিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। (১৫ এপ্রিল) বিকেলে পাংশা উপজেলার মৌকুড়ি মোল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিশুটি বর্তমান পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পর পরই পাংশা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা।
জানা যায়, নির্যাতনের শিকার শিশু রাফি (১০) একই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ও মৌকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার দিন বিকেলে প্রতিবেশী শামীম সরদারের আম গাছ থেকে শিশু রাফি না বলে একটি আম পারলে ঐ গাছের মালিক শামীম সরদার শিশুটিকে ধরে নির্যাতন করে এবং গাছের সাথে বেঁধে রাখে। শিশুটির কান্নাকাটিতে এলাকার মানুষ জড়ো হয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে পাংশা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে খেলার ফাঁকে প্রতিবেশি আবু শামীম সর্দারের গাছ থেকে একটি আম পারে আমার ছেলে। এর জের ধরে শামীম সরদার আমার ছেলেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। এসময় ওর চিৎকার ও কান্নাকাটিতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে শামীম সর্দার পালিয়ে যায়। এতে আমার ছেলে মারাত্মক জখম হয়। ছেলেকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শামীম সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রবিউলের ছেলে রাফি প্রায়ই আমার গাছের আম পেড়ে নিয়ে যায়। কিন্তু আমি ধরতে পারি না। গতকাল (মঙ্গলবার) আমার গাছ থেকে আম পাড়ার সময় আমি দেখে ফেলি। পরে ওকে ধরে একটা থাপ্পড় দিয়ে গামছা দিয়ে গাছের সাথে বেধে রাখি, যেন ও ভয় পেয়ে আর পরবর্তীতে এরকম কাজ করার সাহস না পায়।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”