Friday, April 19, 2024

বালিয়াকান্দিতে পুলিশের ভূয়া এসআইকে ধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ

এস,এম,রাহাত ফারুকী,বালিয়াকান্দিঃ মোবাইল ফোনে পরিচয়। অতঃপর কথা চলে কিছুদিন। এরপর পুলিশের এসআই (সাব-ইন্সপেক্টর) পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে এ্যাফিডেবিটের মাধ্যমে বিয়ে। প্রায় ২ মাস ধরে মাঝে মাঝেই যাতায়াত করে শ্বশুরবাড়ী।

কিন্তু পুলিশের পরিচয়পত্র দেখানোর পরও শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের সন্দেহ হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্বশুর বাড়ীতে আসার পর তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ভূয়া এসআই পরিচয়ের কথা স্বীকার করে। পরে তাকে উত্তম মাধ্যম প্রদান করে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের জিয়েলগাড়ীপাড়া গ্রামে। (২৫ মার্চ) শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

ওই প্রতারকের নাম, উৎপল মন্ডল (৪০)। সে গোপালগঞ্জ জেলার মকছেদপুর থানার দিস্তাই গ্রামের নিরাপদ মন্ডলের ছেলে।
প্রতারনার শিকার ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ফরিদপুর সারদা সুন্দরী কলেজের ছাত্রীর সাথে মোবাইলে পরিচয় হয় প্রতারক উৎপল মন্ডলের। সে নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পরিচয় দেন এবং আইডি কার্ড প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে অবিবাহিত হিসেবে প্রেমের জড়িয়ে কোর্টে এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে। ওই ছাত্রী তার পরিবারের নিকট বিষয়টি খুলে বললে বাড়ীতে আসে এবং নিজেকে পুলিশের এস,আই পরিচয় দেয়। ২ মাস ধরে মাঝে মাঝেই যাতায়াত করতে থাকে। তার চাকুরীতে প্রমোশন হবে বলে ২লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার রাতে আসার পর তাদের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ভূয়া পরিচয়ের কথা স্বীকার করে। পরে শুক্রবার বিকাল ৫টায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে থানায় সোপর্দ করা হয়। সে আগেও বোয়ালমারী বিয়ে করেছে।
নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর বলেন, পুলিশ পরিচয়ে প্রতারনাকারীকে স্থানীয় লোকজন ধরে আমাকে খবর দেয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, প্রতারনার শিকার পরিবারের লোকজন তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। অভিযোগ দায়ের করার পর মামলা দায়ের করা হয়।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here