Thursday, March 28, 2024

গোয়ালন্দে ছাত্রলীগের দু”গ্রুপের দ্বন্দ্ব ও ভাংচুর, থানায় মামলা

মোজাম্মেলহক, গোয়ালন্দ: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির দ্বন্দ্বও ভাঙচুর পরে ৭জন কে আসামী করে থানায় মামলা।

বুধবার(১৩ জুলাই) দুপুরে এক এজহারের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
আসামীরা হলো, গোয়ালন্দ পৌর২নং ওয়ার্ড দেওয়ান পাড়ার কুব্বাত মন্ডলের ছেলে মো. রাতুল আহমেদ(২৬), গোয়ালন্দ বাজার কমল কুমার সাহার ছেলে আকাশ কুমার সাহা( ২৬), হানিফ মৃধার ছেলে সরো মৃধা(২০), দবির শেখের ছেলে মৃদুল(২০), সোরাপের ছেলে রবিন(২২), রুমন(২২),কাব্য(২৪),

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বরত আছে। ১ নং বিবাদীর সাথে আমার রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব হইতে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। গোয়ালন্দ বাজারে হুদয় সুপার মার্কেটের ২য় তলায় আমার অফিস আছে। আমি উক্ত অফিসে বসিয়া রাজনৈতিক কার্যক্রম সম্পাদন করি।পূর্ব বিরোধের জের ধরিয়া ৯ জুলাই রাত ৯ টার ঘটিকার সময় সকল বিবাদীরা হাতে ধারালো চাকু, লোহার রডও লাঠি শোঠা নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে বেআইনী জনতায় দলবন্ধ হইয়া আমার ছাত্রলীগের কার্যালয়ে মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করিয়া দোকানের মধ্যে থাকা বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে।১নং বিবাদী আমার অফিসে মধ্যে দেওয়ালে ঢুকে আমাকে লক্ষ্য করিয়া কলমদানী ছুরে মারলে উক্ত কলমদানী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাধাই করা ছবিতে লেগে ভেঙে যায়।এ সময় আমার সহকর্মী সুমন(২২), বিবাদীদেরকে বাধা দিলে ২,৪,৫ও ৭ নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাকে এলোপাথারী ভাবে মারপির করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে।৬ নংবিবাদী আমার অফিসের টেবিলের কাঁচের উপরে লোহার রড দিয়ে বাড়ি মেরে ভেঙে ফেলে। সকল বিবাদীরা অফিসের বিভিন্ন জিনিস পত্র ভাংচুর করিয়া অনুমান৩৫,০০০ টাকা ক্ষতি সাধান করে এবং ৩ নং বিবাদী আমার অফিসের ড্রয়ারে থাকা ব্যাবসায়ীক নগত ৭০,০০০ টাকানিয়ে যায়। আমারদের ডাক চিতকারে আশ পাশের লোক জন আগায়া আসলে বিবাদীরা আমাদের প্রান নাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

এবিষয়ে পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো. রাতুল আহমেদ বলেন, এ ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কয়েক বছর ধরে মেয়রের বাড়ীর সামনে একটি প্লারে আমার ফেসটুন টানিয়ে আসছি। সেখানে একটি ফেসটন টানানো রয়েছে সেই ফেসটনটি উপজেলা ছাত্রীগের সাধারন সম্পাদক আবিরর ছেলেরা নামিয়ে সেখানে তার একটি ফেসটন টানিয়ে দেয়। আমি সেই ফেসটনটি টানানো দেখে আমি আবিরের অফিসে গিয়ে আবিরের জিজ্ঞেস করি আমার ফেসটন নামিয়েছো কেন। এই বলে আমাদের মধ্যে কিছুটা বাগ বিতর্ক হয়েছে। কিন্ত আমাদের মধ্যে হাতাহাতি বা ভাংচুরের মত কোন ঘটনা ঘটেনি। আমাকে হয়রানি করার জন্য আমার নামে সম্পুর্ন মিথ্যা একটি মামলা করেছে। আমি এই মিথ্যা মামলা সঠিক তদন্ত চাই।

গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, এবিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। আমরা আসামীকে ধরতে অভিযান চালাই।এ মামলার আসামীরা রাজবাড়ী কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসেছে। দলীও নেতা কর্মীরা বসে এবিষয়টি মিমাংসার করে দেবে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here