মোজাম্মেলহক লালটু, গোয়ালন্দ: চারপাশে নদী মাঝে ছোট্র একটি দ্বীপ তার নাম দূর্গমচর কুশাহাটা এটি অবস্থিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে। সেখানে বর্ষা মৌসুমে বিকল্প ভাবে ডালিম বেগম ঘরের ডওয়াতে বেনডি (ঢেঁড়স) চাষ করে মিটাচ্ছেন পারিবারিক চাহিদা।
সরেজমিনে জানা গেছে, বর্তমানে দূর্গমচর কুশাহাটা ১৩২ টি বসত বাড়ী ঘর রয়েছে।এই দূর্গমচরে কোন হাট বাজার না থাকায়। তারা বর্ষা মৌসুমে বিকল্প মাধ্যামে ঘরের ডওয়াতে সবজি চাষ করে থাকে। এই সবজি দিয়ে তারা পারিবারিক ভাবে সবজির চাহিদা মেটায়। বিকল্প ভাবে শুধু ঘরের ডওয়াতে বেনডি চাষ করেন না।আরো অন্য অন্য সবজি চাষ করে থাকেন তারা।
ডালিম বেগম বলেন, আমাদের এই চর অঞ্চলের প্রায় বাড়ীতে এভাবে সবজি গাছ লাগানো হয়ে থাকে। কারন বর্ষার সময় বাড়ী ঘরের চার পাশ দিয়ে শুধু পানি আর পানি থাকে। সেই কারনে আমরা ঘরের ডওয়াতে বেনডি লাগিয়ে থাকি বেশির ভাগ। কারন বেনডি সবজিটা একদিন পর পর ছিড়তে হয়। বেনডি সব সবজির চেয়ে বেশি ফলন দিয়ে থাকে সে জন্য বেনডি ঘরের ডওয়াতে লাগানো হয়েছে।এতে আমার পরিবারে সবজি সংকটে পড়তে হয় না। আমাদের এখানে কোন হাট বাজার না থাকায় আমরা এই পদ্ধতি টা বেচে নিয়েছি।
দূর্মমচরের মালেকা বেগম বলেন, বর্ষা সময় বাড়ীতে পানি উঠে যাওয়া।শুধু ঘরের ডওয়াটা জাগনা থাকে। সেই বিষয়টি চিন্তা করে আমরা ঘরের ডওয়াতে সবজি চাষ করে থাকি এতে আমাদের পরিবারের সবজি সংকটে পড়তে হয় না। এই চরে হাট বাজার নেই, হাট বাজারে যেতে হলে ট্রলারে করে আরিচা বাজার না হলে গোয়ালন্দ দৌলতদিয়া বাজারে যেতে হয়।তা ছাড়া কোন হাট বাজার নেই। তার পরও বাড়ীর চার পাশে পানি থাকে। সব কিছু চিন্তা ভাবনা করে আমরা ঘরের ডওয়াতে সবজি চাষ করে থাকি।
দৌলতদিয়ায় ইউনিয়নের সহকারি কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন বলেন, দূর্গমচরে জমি গুলো ঢালু থাকা বর্ষা মৌসুমে জমিতেও বাড়ীর চার পাশে পানি থাকে। সেই কারনে বিকল্প মাধ্যামে তারা ঘরের ডওয়াতে সর্বকালীন ভাবে পারিবারিক সবজি চাহিদা মেটানোর জন্য। ঘরের ডওয়াতে বেনডি (ঢেঁড়স) সহ অনেক সবজি চাষ করে থাকেন।