Saturday, April 20, 2024

নাসুম-মুস্তাফিজের বোলিং তোপে ৯৩ রানে গুটিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশের জয়ের উল্লাস

                      – স্পিনার নাসুম আহমেদ ও পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ৯৩ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৯ দশমিক ৩ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। দলের পতেক্ষ সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন উইল ইয়ং।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম লাথাম।
আগের তিন ম্যাচেই বাংলাদেশের পক্ষে বোলিং শুরু করেছিলেন অফ-স্পিনার মাহেদি হাসান। আজ বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের হতে বল তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে নিউজিল্যান্ডের ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রকে বিদায় দেন নাসুম। দলীয় রানের খািতা খোলার আগেই  খালি হাতে ফিরতে হয় রবীন্দ্রকে। মেডেন উইকেটে ওভারটি শেষ করেন নাসুম।
পাওয়ার-প্লের সুবিধা নিতে মারমুখী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আরেক ওপেনার  ফিন অ্যালেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সাকিব আল হাসানকে রিভার্স সুইপে পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা মারেন অ্যালেন। পরের ওভারে নাসুমকে রিভার্স-সুইপে মারতে গিয়ে পয়েন্টে সাইফুদ্দিনের তালুবন্দি হন অ্যালেন। আউট হওয়ার  আগে ৮ বলে ১২ রান করেন তিনি।
১৬ রানে ২ উইকেট পতনে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। সেই চাপকে দূর করতে উইকেটে টিকে থাকার দিকে মনোযোগি হন লাথাম ও উইল ইয়ং। রানের জন্য তাড়াহুড়া না করে ধীরলয়ে এগোতে থাকেন তারা। এতে ১১তম ওভারের প্রথম বলে দলীয়  ৫০ রানে পৌঁছায় নিউজিল্যান্ড।
একই ওভারে লাথাম-ইয়ং জুটি ভেঙ্গে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মাহেদি। স্টাম্পড আউট হবার আগে ২৬ বলে ২১ রান করেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক লাথাম।
মাহেদির ব্রেক-থ্রুতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় নাসুমের। তারই ধারাবাহিকতায় ১২তম ওভারে পরপর দুই বলে নিউজিল্যান্ডের দুই উইকেট তুলে নেন নাসুম। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হেনরি নিকোলসকে ১ রানে বোল্ড এবং কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে কোন রানই করতে দেননি নাসুম। এ ওভারেও  কোন রান  না দিয়ে দুই  উইকেট  নেন  নাসুম।
৭ বল ও ১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে আবারো চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। সেই চাপ থেকে দলকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন সেট ব্যাটসম্যান ইয়ং ও টম ব্লান্ডেল। ২৩ বলে ২০ রান যোগ করার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। জুটিতে ৪ রান করা ব্লান্ডেলকে প্রথম শিকারে পরিনত করেন  কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ।
১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্লান্ডেলের পর পর ষষ্ঠ বলে  রানের খাতা খেলার আগেই কোল ম্যাককঞ্চিকে আউট করেন মুস্তাফিজ।  এমন অবস্থায় ১৬ ওভার শেষে ৭৪ রানে সপ্তম উইকেটে পতন ঘটে নিউজিল্যান্ডের।
এ অবস্থায় দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন ইয়ং। কিন্তু ইনিংসের শেষদিকে পাঁচ বলের ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের শেষ ৩ উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ ও সাইফুদ্দিন। ফলে ৩ বল বাকী থাকতে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ৪৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ইয়ং।
বাংলাদেশের সফল বোলার ছিলেন নাসুম ও মুস্তাফিজ। নাসুম নির্ধারিত ৪ ওভারে ১০ রানে এবং মুস্তাফিজ ১২ রানে ৪ উইকেট নেন।

বাসস’

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here