Friday, April 26, 2024

পদ্মায় ধীর গতিতে চলছে ড্রেজিং – নদীর বালু ফেলা হচ্ছে  নদীতেই 

দেশের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত , ব্যাস্ততম নৌরুট গুলোর মধ্যে অন্যতম রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া নৌরুট। কিন্তু বর্তমানে নব্যতা সংকটের কারণে এই নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচলে মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকার সাথে যোগাযোগে বিঘ্নিত হচ্ছে। এবং প্রতিদিন যানযট লেগেই আছে। দেশের ব্যাস্ততম এই নৌরুট কে ফেরি, লঞ্চ সহ অন্যান্য নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া নৌরুটে শুরু হয়েছে ড্রেজিং কার্যক্রম।

ঘাট সুত্রে জানাযায়, এই নৌরুট কে সার্বক্ষনিক সচল রাখতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় গত ১২ই আগষ্ট এবং দৌলতদিয়া প্রান্তে গত ২৩শে সেপ্টেম্বর থেকে এই ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাটুরিয়া প্রান্তে বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব দুটি ড্রেজার দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে আর দৌলতদিয়া প্রান্তে ভাড়া করা বেসরকারি একটি ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

কিন্তু সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় নব্যতা সংকট কাটানোর ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালু কেটে আবার নদীতেই সেটা ফেলা হচ্ছে। ফলে আবারও নব্যতা সংকটের আশংকা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায় প্রতি বছর ড্রেজিং এর মাধ্যমে বালু কেটে আবার নদীতেই সেটা ফেলা হয়। এটা চক্রাকারে হয়ে আসছে এবং সরকারের প্রতি বছর অনেক টাকা ক্ষতি হচ্ছে।

সাত নম্বর ফেরিঘাটের অদুরে এই ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে। এই প্রতিবেদক আগেও দুই দিন মেশিন বন্ধ দেখতে পায় তৃতীয় দিন গিয়ে দেখা যায় আধাঘন্টা চলার পর আবার আধাঘন্টা বন্ধ থাকে এভাবেই ড্রেজিং কাজের নামে হরিলুটে নেমেছে একটি দল। আশেপাশের মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায় রাতে আরও খারাপ অবস্থা সারারাত দুই দিন ঘন্টার বেশি চলে না। অথচ সকাল ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত কাজের নির্দেশ রয়েছে বলে ঘাট সুত্রে জানাযায়।

স্থানীয় বাসিন্দা তারোক মন্ডল বলেন প্রতিবছর এই সময় হলেই ঘাটে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করে এবং সেই পদ্মায় জেগে উঠা চড়ে ফেলা হয় প্রতি বর্ষা মৌসুমে সেই বালু নদীতে কেটে নিয়ে জলের পানিতে মিশে৷ এটা আমরা বহুকাল থেকেই দেখে আসছি। এটা সরকারের টাকা জলে ফেলা ছাড়া আর কিছু নয়।

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নাব্য সঙ্কটের কারণে ফেরিগুলো চলাচলে সময় বেশি লাগছে। মাঝে মধ্যে ডুবোচরে ফেরি আটকে যাচ্ছে। আটকে যাওয়ার কারণে ফেরিগুলো বুস বালুতে ঘষা লেগে ক্ষয়ে যাচ্ছে। লঞ্চগুলোও নানা দুর্ভোগ শিকার হচ্ছে। বর্ষায় দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের অর্ধেক অংশ নদীগর্ভে চলে যায়। এতে অর্ধেক পন্টুন ব্যবহার করে লঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে মালিক সমিতির ম্যানেজার নুুরুল আনোয়ার মিলন জানান, বর্ষায় লঞ্চঘাটের কিছু অংশ নদীতে। যে কারণে পন্টুনগুলো ঘাটে ভালভাবে ভেড়ানো যায় না। এর মধ্যে নদীর পানি দ্রুত কমে যাওয়ার কারণে নদীতে নাব্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যে কারণে লঞ্চগুলো পাড়ের এসে ভিড়তে কষ্ট হচ্ছে। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি রেখে বলেন, লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ড্রেজিং ও ভাল একটি জায়গায় লঞ্চঘাট স্থানান্তর করতে হবে।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী ( পুর) ড্রেজিং  আক্কাস মোল্লার কাছে ধীরগতির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে  তিনি জানান, ড্রেজিং এর কার্যক্রম সকাল ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলমান আছে। এবং কত ঘন মিটার মাটি কাটা হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান   ,এ হিসাব আমার কাছে নেই এটি ইঞ্জিনিয়ারের কাছে আছে ,এ রিপোর্ট আমার কাছে এখনো আসেনি। নদীর বালু নদীতেই ফেলা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন নদীর চরে বালু ফেলা হচ্ছে। নদীতে ফেলা হচ্ছেনা ।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here