Thursday, March 28, 2024

পাংশায় কৃষি অর্থনীতিতে যোগ হলো জাপানি মিষ্টি আলু

উজ্জল হোসেন,পাংশা (রাজবাড়ী): রাজবাড়ীর পাংশায় ‘ওকিনিয়া’ ও ‘মুরাসাকি’ নামে জাপানি জাতের মিষ্টি আলু পরীক্ষা মূলক ভাবে চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ১৫ জন কৃষক ২০ শতক করে জমিতে চাষ করেছেন এই মিষ্টি আলু। দেশি মিষ্টি আলুর চেয়ে জাপানি এ আলুর ফলন দ্বিগুণ। ফলে এ মিষ্টি আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে—মানুষের খাদ্যের তালিকায় ভিন্ন, চাহিদা ও পুষ্টিমান বিবেচনায় চলতি মৌসুমে পরীক্ষা মূলক ভাবে চাষ করা হয়েছে জাপানি মিষ্টি আলু ‘ওকিনিয়া’ ও ‘মুরাসাকি’। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ থেকে জাপানি কাটিং, রাসায়নিক সার ও পরিচর্যা বাবদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ১৫ জন কৃষকের ২০ শতক করে জমিতে মিষ্টি আলু চাষ হয়েছে। সাধারণত দেশি জাতের মিষ্টি আলু শতক প্রতি ১—১.৫ মণ ফলন হলেও নতুন জাতের জাপানি এ আলুর ফলন হবে শতক প্রতি ৩—৪ মণ।

উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের মিষ্টি আলু চাষি জানান, আমরা যৌথভাবে প্রথম বারের মত জাপানি মিষ্টি আলু আবাদ করেছি। চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের সহায়তায় তারা যৌথভাবে ৪০ শতক জমিতে জাপানি জাতের মিষ্টি আলু চাষ করেছেন। দেশি আলুর চেয়ে ফলন পেয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আকর্ষণীয় রঙ হওয়ার কারণে এ জাতের আলুর চাহিদাও বেশি। আগামী মৌসুমে সে ১ একর জমিতে এ জাতের আলুচাষ করবেন বলে আশা করেছেন।
ওই এলাকার আরেক কৃষক জানান, এবার ২০ শতক জমিতে জাপানি জাতের মিষ্টি আলুচাষ করেছেন। উচ্চ ফলনশীল এ জাতের আলুচাষ করে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো জানান, আমার দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকরাও আগামী মৌসুমে এ জাতের আলুচাষ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

বাবুপাড়া উপ—সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে পরীক্ষামূলকভাবে এ মিষ্টি আলুচাষ করা হয়েছে। এ আলুর ফলন অনেক বেশি ও অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কৃষকরা আগ্রহী হওয়ায় আগামী মৌসুমে এ জাতের আলুর চাষ আরো সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ বলেন, চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে জাপানি নতুন জাতের আলুচাষ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জাপানি এ মিষ্টি আলু উৎপাদন করে কৃষকরা খুশি। কৃষকরা এ মিষ্টি আলু চাষ করে খরচ বাদে ৩০—৩৫ হাজার টাকা করে লাভ করতে পারবেন।

আগামী মৌসুমে আরো অধিক জমিতে এ আলু চাষ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। এতে উপজেলায় মিষ্টি আলুর চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে। কৃষি বিভাগ থেকে স্থানীয় চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধাসহ উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here