- গত রাত থেকেই পন্যবাহি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দীর্ঘ সারি আরো দীর্ঘতর হচ্ছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের নৌরুটে সকাল থেকেই পন্যবাহি ট্রাকের পাশাপাশি যাত্রীবাহি বাসও এই লাইনে আটকা পড়ে ফলে চালক হেলপার সহ যাত্রীরা মারাত্বক ভোগান্তির সন্মুখিন হচ্ছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সরজমিনে দেখাযায় সকালে দৌলতদিয়ার জিরোপয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের টেকনিক্যাল স্কুল পর্যন্ত ও গোয়ালন্দ মোড়ের রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কে যানজট দেখা যায়।
চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করলেও অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দীর্ঘ সময় পদ্মাপারের অপেক্ষায় থাকতে হয়। দিনে পর দিন অপেক্ষায় থাকা ভোগান্তিতে পড়ছেন চালক ও সহযোগীরা। তারপর সেখানে বাথরুম ও গোসল করার কোন ব্যাবস্থা না থাকায় এই সমস্যা আরও মর্মান্তিক হয়েছে তাদের জন্য।
কর্তব্যরত সার্জেন্ট ও ঘাটের দায়িত্বশীল সুত্রের বরাত অনুযায়ী এই যানজট আরো দুই একদিন স্থায়ী হতে পারে কারন পাটুরিয়া ঘাটের আমানত শাহ ফেরির উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই জ্যাম কমার সম্ভাবনা কম তাছাড়া কাঁঠাল বাড়ি শিমুলিয়া ঘাটের চাপ ও এখানে রয়েছে।
শ্যামলি পরিবহনের যাত্রী রাব্বি খোভ প্রকাশ করে বলেন যশোর রাত বারোটায় ঘাটে আসলেও এখন সকাল নয়টা বাজলেও ফেরির দেখা নেই। বউ, বাচ্চা নিয়ে বসে আছি এভাবে কতক্ষণ থাকবো। বাথরুম করার সমস্যা। সবাই নাস্তাটা পর্যন্ত করতে পারছি না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়াঘাট ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন জানান, গাড়ির চাপ সব সময় এক রকম থাকে না। বর্তমানে দক্ষিণঞ্চলের যানবাহনের সঙ্গে শিমুলিয়া বাড়তি যানবাহনের চাপ পড়েছে। তাছাড়া পাটুরিয়া প্রান্তের পাচ নম্বর ফেরিঘাটের সমস্যা গেলে কিছুটা হলেও সমস্যা কমবে। এ রুটের ছোট-বড় ১৭ ফেরি চলাচল করছে।