Friday, March 29, 2024

বহিস্কৃতদের বিএমএসএফ’র লোগো নাম ব্যবহার না করতে নির্দেশ

ঢাকা, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বহিস্কৃত ৭জনকে সংগঠনের নাম,লোগো এবং পদবী ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৪ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএমএসএফ প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর সকলের অবগতির জন্য এ তথ্য জানান।
এদিকে আগামি ৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ৮টায় বিএমএসএফ জাতীয় পরিষদের প্রথম ভার্চুয়াল সভা আহবান করা হয়েছে। সভায় জাতীয় পরিষদের নেতৃবৃন্দকে অংশগ্রহনের আহবান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএমএসএফ সংগঠন ও সাংবাদিকদের মাঝে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ইতিমধ্যে বহিস্কৃতরা সংগঠনের বেশকিছু নেতাকর্মীকে চাকরীচ্যুতির ভয়ভীতি, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং অখ্যাত পত্রিকায় মনগড়া, সবৈব মিথ্যা-বানোয়াট অপপ্রচার ও চরিত্রহরণ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দন্ডনীয় অপরাধ করে মানহানী চালাচ্ছেন। তারা তাদের এহেন কর্মকান্ড থেকে বিরত না থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিএমএসএফ’র সরকারী সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নিবন্ধন, কপি রাইট সনদ এবং লোগো নিবন্ধণ সম্পন্ন হয়েছে। বহিস্কৃতরা সংগঠনের নাম, পরিচয়,লোগো ব্যবহার, মিটিংসহ কোন সাংগঠনিক কর্মকান্ডের ক্ষমতা রাখেন না। তাই উল্লেখিত ব্যক্তিদেরকে সংগঠনের নাম পরিচয় ব্যবহার না করতে বিশেষ অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, সংগঠনের পুরানাপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গত ২৫ জানুয়ারী বিকেলে সাধারণ সভা চলাকালে হামলাসহ পূর্বের নানা অভিযোগে নিম্মোক্ত ব্যক্তিদেরকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং মাদকসহ নানা অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাঈদুর রহমান রিমনকে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১০.১, ১০.২, ১০.৬ , ১০.১০ ধারা, শারমিন সুলতানা মিতুকে ১০.১, ১০.২, ১০.৫, ১০.৬ ও ১০.১০ ধারা, সোহাগ আরেফীন, এমএ আকরামকে ১০.১, ১০.২, ১০.৬, ১০.৯ ও ১০.১০ ধারায়, এনামুল কবির সোহেল, রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু ও জুয়েল খন্দকারের বিরুদ্ধে অনুরুপ অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এদের সাথে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের জাতীয় নেতৃবৃন্দ /শাখা নেতৃবৃন্দকে কোনরুপ বিব্রত না হওয়াসহ যোগাযোগ না রাখতে অনুরোধসহ দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।
অন্যদিকে শহীদুল ইসলাম পাইলটের বিরুদ্ধে নৈতিক চরিত্রস্খলন, সদস্যদের উস্কানী ছাড়াও গঠনতন্ত্রের ১০.১, ১০.৩, ১০.৪ ধারার অপরাধ সার্বিক পর্যবেক্ষনে প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকেও অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
বিষয়টি পুন:নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় পরিষদের প্রধান আহমেদ আবু জাফর সহ সংগঠনটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
তারা বলেন, আজ থেকে আগামীতে বিতর্কে জড়ানো উল্লেখিত ব্যক্তিরা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেউ নন। সাংবাদিকদের স্বার্থে কাজ করে যাওয়া এই সংগঠনের নাম পরিচয় পদবী ব্যবহার করা থেকে তাদের বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে। এর পরেও যদি সংগঠনের নাম পরিচয়, পদবী ব্যবহার করে কোনরুপ কর্মকান্ড পরিচালনা করেন এবং সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কাজ কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য; বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চালাচ্ছিল কয়েকজন। এর মধ্যেই ওই কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে সংগঠনের ৭ জন ব্যক্তি নানারুপ বিতর্ক সৃষ্টি করে আসছিল। বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের কাজে মনোযোগী হতে বলা হয়েছিল; কিন্তু তারা তা উপেক্ষা করে শৃঙ্খলা নষ্ট করে বিতর্কিত কর্মকান্ড চালিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে অনৈক্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here