Saturday, April 20, 2024

রাজবাড়ীর লক্ষ্মীকোলে প্রেমিকের বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ৩ বৎসর যাবত রাজবাড়ী সদরেরর মোছোঘাটা গ্রামের মেয়ের সাথে পৌর ২ নং ওয়ার্ডস্থ লক্ষ্মীকোল গ্রামের নচিমন চালক ও সুদে ব্যবসায়ী আলমের ছেলে রাসেল প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারই সূত্র ধরে গত ২২/৯/২২ তাং বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেমিকা (মেয়েটি) নিজ বাড়ি ছেড়ে বিয়ের দাবিতে লক্ষ্মীকোল গ্রামের প্রেমিক রাসেলের বাড়িতে এসে ওঠে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানানঃ- বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক গ্রামবাসী, সাংবাদিক , সদর থানার এসআই বোরহান উদ্দিন, এস আই নুরুল ইসলাম ও স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন সম্রাট প্রেমিক রাসেলের বাড়িতে উপস্থিত দেখা যায়।
এসময় প্রেমিক রাসেল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। নাছোরবান্দা প্রেমিকাও রাসেলের বাড়ি ছাড়তে নারাজ। এক পর্যায়ে উপস্থিত জনপ্রতিনিধি মেয়েটিকে আশ্বাস দিয়ে বলে যে, আজকের মতো তুমি তোমার বাবার সাথে বাড়ি চলে যাও। আগামীকাল আবার এসো, পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে রাসেলের বাড়িতে বসে আমরা তোমার ইচ্ছে পূরন করার চেষ্টা করবো। এমন আশ্বাসে বিয়ের দাবিতে অনর থাকা মেয়েটি তার বাবার সাথে নিজ বাড়িতে চলে যায়। এরপর মেয়েটি বুক ভরা আশা নিয়ে তার বাবার সাথে নিয়ে শুক্রবার বিকেলে রাসেলের বাড়িতে পূনরায় হাজির হয়। কিন্তু প্রেমিক রাসেল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়, এরপর মাতবররা মেয়েটিকে উল্টাপাল্টা কথা বলে ও রাসেলকে ভুলে যাওয়ার জন্য টাকা নেওয়ার অফার করে। তাতে মেয়েটি রাজি হয়না। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে তাড়িয়ে দেয়।
৩ বছর প্রেম করে বিয়ে করতে না চাওয়ার কারন প্রসঙ্গে খোঁজখবর নিয়ে জানাযায়, রাসেল অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করতে চাচ্ছে।
লোকেমুখে শোনা যায়, প্রেমিক ছেলের বাবা আলম তার ছেলে রাসেলকে ওই মেয়ের সাথে বিয়ে না দেওয়ার জন্য এলাকার নামধারী মাতবরদেরকে ৪/৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবারে উপস্থিত থাকা সেই মাতবররাই এবার ছল/বল/কল/কৌশল করে মেয়েটিকে রাসেলের বাড়ি থেকে ভাগিয়ে দেয়।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়, এরপর আবার কিছু দালাল মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে রাসেলের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য উৎসাহ দেয়, অর্থাৎ যারা টাকার ভাগ পায়নি তারা এই মেয়েটিকে মামলা করার কথা বলে। তাদের কথা মতো মেয়েটি রাসেলের বিরুদ্ধে মামলা করার ইচ্ছে নিয়ে আজ (শনিবার) বিকেলে তাদের সাথে দেখা করলে অভিযোগ লেখার জন্য কম্পিউটার দোকান খোঁজার নামে মেয়েটিকে ঘন্টা দু’য়েক ঘোড়ায় এবং দোকান বন্ধ দেখায়। এরপর তারাই আবার মেয়েটিকে মামলা না করার জন্য উল্টাপাল্টা পরামর্শ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তারা নাকি মেয়েটিকে বলে মামলা করে কি হবে? জোড় করে বিয়ে দিলে সংসার টিকবেনা, আবার মামলা করলে তোমারই সন্মান নষ্ট হবে, তার চেয়ে ভাল মামলা না করা। এ কথা শোনার পর মেয়েটি হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।

 

মেয়েটির সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানাযায়, আইনগতভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কিছু সাধারন লোক তার কাছ থেকেও বেশ কিছু টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যারা তার টাকা খেয়েছে তারাও এখন…।
সে এখন আর কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছেনা বলে জানান। এ ব্যাপারে বিশ্বস্তসূত্রে আরো জানাযায়, প্রথমদিনে যে লোকগুলো মেয়েটির পক্ষ নেয়, সেই লোকগুলোই দ্বিতীয় দিনে ছেলের পক্ষ নেওয়া লোকগুলোর সাথে হাত মিলিয়ে এক হয়ে যায়। সব শেষে কুল কিনারা হারিয়ে মেয়েটি পরে বিপাকে। বিচার না পেয়ে মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পরেছে।

এ বিষয়ের রাজবাড়ী সদর থানার এস আই বোরহান উদ্দীন বলেন, রাজবাড়ী জেলা সদরের রাজবাড়ী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডস্থ লক্ষ্মীকোল গ্রামের মোঃ আলম শেখ থানায় অভিযোগ করেন যে, কোথাকার একটি মেয়ে আমার বাড়ীতে এসে অবস্থান করে এবং আমার ছেলে মোঃ রাসেল শেখের সাথে জোর পূর্বক বিয়ে দেওয়ার কথা বলে, সেই মেয়ে এখন বাড়ী থেকে যেতে চাচ্ছেনা । এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই মেয়ে সহ স্থানীয় অনেক লোকজনকে দেখতে পাই। মেয়ের দাবী রাসেলের সাথে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক।  পরে মেয়ে ও মেয়ের পরিবারকে ছেলের সাথে মেয়ের সম্পর্কের কোন প্রমান আছে কিনা তা আনতে বলি এবং মেয়েকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি, অভিযোগ পেলে আর মেয়েকে কোনভাবে প্রতারিত করা হয়েছে বলে প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here