Friday, March 29, 2024

রাজবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরী

নেহাল আহমেদ।রাজবাড়ী: রাজবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরী যেন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে একশত আট বছরের এই লাইব্রেরী লাইব্রেরিয়ান পদ শুন্য পাচঁ বছর ধরে।একজন সহকারী লাইব্রেরীয়ান একজন পিয়ন এবং একজন পরিস্কার পরিছন্ন কর্মি নিয়ে চলছে কার্যক্রম।রাজবাড়ী শহরের প্রান কেন্দ্রে নয় শতাংশ ( তের শতাংশ জায়গায় চার শতাংশ জায়গা গড়ে তোলা হয়েছে জেলা শিল্পকলা) জায়গার উপর শতবর্ষীর উর্ধ্বে এই লাইব্রেরী হারিয়েছে তার জৌলুস।নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিক কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কোন নির্বাচন এখনো হয়নি।মাত্র ২৩ শত টাকা সহকারী লাইব্রিরিয়ানের টাকা থেকে শোধ করা হয় বিদ্যুত বিল।খবরের কাগজের বিল দেয়া হয় না।জেলাপ্রশাসকের অনুদানের টাকায় চলে সব কার্যক্রম।দুর্লভ এবং দামি বই হুলো বাধাঁইয়ের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।সাত হাজারের অধিক বই সংরক্ষন করা আছে। শেষ সাত দিনে রেকর্ড বইয়ে পাঠক সংখ্যা ছিলো ২৬ জন।নেকবার নামে একজন পাঠক জানান।লাইব্রেরী পরিচালনা কমিটি দক্ষ না হলে পাঠক আনা যাবে না।এমনিতেই ফোনে আসক্ত তরুন সমাজন।তাদের লাইব্রেরী মুখি করতে নতুন নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে।লাইব্রেরীর সামনে রয়েছে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব হাসানুজ্জামান কল্লোলের উদ্যোগে লাইব্রেরীর শতবর্ষ চিহ্ন স্যার উডহেড খোলা মঞ্চ।ছোট ছোট অনুষ্ঠানের অন্য সুন্দর জায়গা।সহকারী লাইব্রেরীয়ান মনে করেন শহজ শর্তে সেটা ভাড়া দেতে পারে।সেটা থেকে কিছু আয় করা সম্ভব।তাছাড়া দোতলায় যে দুটি কক্ষ পড়ে আছে সেখান থেকে ভাল আয় হতো।করোনার পর আর কেহ ভাড়া পরিশোধ করে না।কক্ষ দুটি মেরামত করে ভাড়া দিলে সেই ভাড়ার টাকায় লাইব্রেরী চালানো সহজ হতো।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় :
“এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলােক কালাে অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে।”
পাঠাগারের বইয়ের ভাণ্ডারে সঞ্চিত হয়ে আছে মানবসভ্যতার শত শত বছরের ইতিহাসের হৃদয়স্পন্দন।
পাঠাগার বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে এমন একটি বাড়ি বা ঘর, যেখা বই সংগ্রহ ও সংরক্ষিত থাকে। পাঠাগারের শাব্দিক প্রতিশব্দ হচ্ছে পুস্তকাগার, গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরি। শখের মধ্যে যেমন সমুদ্রের শব্দ শােনা যায়, পাঠাগারের মধ্যে তেমনি মানুষের হৃদয়ের উত্থান-পতনের ধ্বনি শােনা যায়। পাঠক এখানে স্পর্শ পায় সভ্যতার এক শাশ্বত ধারার, অনুভব করে মহাসমুদ্রের শত শত বছরের কল্লোল ধ্বনি, শুনতে পায় জগতের এক মহা ঐকতানের সুর। তাই পাঠাগার বা লাইব্রেরি হচ্ছে মানুষের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সেতুবন্ধন।রবীন্দনাথের এই উক্তি ব্যক্ত করে জালাল নামে এক পাঠক জানান আমাদের ভবিষ্যত গড়তে হলে অতীত জানতে হবে।আর অতীত জানতে হলে লাইব্রেরী বাচিঁয়ে রাখার কোন বিকল্প নাই।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here