উজ্জল হোসেন, পাংশা: বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার মো. রেজওয়ান রুজদীর দাফন মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাজবাড়ী জেলার পাংশায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে। বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা শিবিরে সোমবার রাতে মাদকবিরোধী এক অভিযানে তিনি নিহত হন। রেজওয়ান পাংশা চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মতিনের জ্যেষ্ঠ পুত্র।
রেজওয়ান রুজদীর মৃতদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার (১৫ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে পাংশা সরকারি জর্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। সেখানে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা রেজওয়ানের কফিন জাতীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদিত করেন। বিমান বাহিনীর যশোরের উইং কমান্ডার পার্থ বড়–যার নেতৃত্বে বিমান বাহিনীর সদস্যরা তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এ ছাড়া রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের পক্ষে পাংশা সার্কেলের এএসপি সুমন কুমার সাহা ও পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় বিমান বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোহাম্মাদ আলী, পাংশা মডেল থানা পুলিশ, পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা, নিহতের পরিবারের স্বজনরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় পাংশা শহরের মৈশালা এলাকাস্থ পাংশা চক্ষু হাসপাতালের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।