Thursday, December 26, 2024

কালুখালীতে নির্মাণাধীন সড়কে ধ্বস

উজ্জল হোসেন : রাজবাড়ীর কালুখালীতে নির্মাণাধীন একটি সড়কের একাধিক স্থানে ধ্বস নেমেছে। উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকার একটি নির্মাণাধীন সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে এলাকাবাসী। নদী অঞ্চলের এ সড়ক নির্মাণের সঠিক পর্যবেক্ষণের দাবি তাঁদের।

জানা গেছে, উপজেলার মধ্যে এটি একটি বন্যা কবলিত এলাকা। এই সড়ক দিয়ে উপজেলার বাঘলপুর, পূর্ব হরিণ বাড়িয়া, সালেপুর, লস্করদিয়া, হরিণাডাঙ্গা, চর-রাজপুর, বিজয় নগর, মাধবপুর, কেষ্টপুর ও হঠাৎপাড়া গ্রামের মানুষের উপজেলা ও কালুখালী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। বর্ষা মৌসুমে এই সড়কটি তলিয়ে যায়। তখন গ্রামবাসীর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। জন্মলগ্ন থেকেই এই সড়কটি পাকা করণের প্রত্যাশা তাদের। তাদের প্রত্যাশা পুরণে মাধবপুর বাজার সংলগ্নে ৯৬ মিটারের একটি সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দুই পাশে ৬০০ মিটার সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, সেতু সহ সেতুর দুই পাশের সড়ক আরও উচু করে করার কথা ছিলো। যতটুক পরিমান উচু করার কথা তা করা হয়নি। অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে দেওয়ার কথা। তা না করে সদ্য নির্মিত সেতুর নিচ থেকে মাটি উত্তোলন করে সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে সেতুটি ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

অন্য স্থান থেকে মাটি এনে রাস্তার দুই পাশে দেওয়ার কথা। তা না করে রাস্তার দুই পাশে গভীর করে বালু উত্তোলন করে রাস্তার দুই পাশে ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তাটি প্রায় ২৫-৩০ ফিট উচু। রাস্তার দুই পাশে প্যলাসাইড দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি বৃষ্টির পানিতে রাস্তার দুই পাশে একাধিক স্থানে ধসে গেছে। রাস্তাটি নির্ধারিত পরিমাণ উচু করা হয়নি। তারা আরও জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার বলেও কোন ফল পাইনি তারা। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঠিক পর্যবেক্ষণের দাবি তাঁদের।

উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অরুনগঞ্জ জিসি থেকে ক্যান্টরমেন্ট রোর্ডর মাধবপুর বাজারের ৯৬ মিটার ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ৯৬ মিটারের একটি সেতু ও ৬০০ মিটার সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কাজটি করছে মেসার্স কামারজানি ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজটি সম্পাদনের কথা থাকলেও নির্মাণ কাজ এখনো চলমান রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সঞ্জীবন সাহা বলেন, আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। কাজ শেষ হওয়ার আগে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করে দেব। সদ্য নির্মিত সেতুর নিচ থেকে মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এলাকার যাতায়াতের ব্যবস্থ ভালো না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারেননি বলে জানান তিনি।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, ঐ এলাকার একটি মহল এই কাজের শুরু থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ড্রিষ্টাব করছে। স্থানীয়রা অনেক সময় না জেনেই বিভিন্ন অভিযোগ করে থাকে। এটি অনেক বড় একটি প্রজেক্ট। এখানে আমাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এসেছে এবং আগামীতেও আসবে। অতএব এখানে আমাদের অনিয়ম করার সুযোগ নেই।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here