রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া কেরামত আলী ফেরি থেকে সন্তানসহ ফেরি থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্নহত্যার চেষ্ঠা করেছে এক’ মা ।
বুধবার(১৬ নভেম্বর)-২১ সকাল ১১ টার দিকে এঘটনা ঘটে। ৫ নং ঘাট থেকে ফেরি ছেড়ে যাবার সময় সন্তানসহ এক মা পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন। ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার টেপাখোলা গ্রামের আ. রশিদের স্ত্রী কাজল বেগম(৪৫) ও ছেলে আ. রহমান(১০)।
রিকশা চালক আক্কাছ বলেন, দৌলতদিয়া বাস টারর্মিনাল থেকে আমার রিকশায় আসে ফেরি ঘাটে। আসার পর বলছে টিকিট কত করে আজকে যে যা চাইবে তাই দেব আমিতো মরে যাব।
মিরাজ দেওয়ান জানান, আমি ৬ নং ঘাটে নৌকা দাঁড়িয়ে আছি এরি মধ্যে দেখতে পাই নদীর স্রোতে একজন পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে আর বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছে ।আমি আর এক ট্রাক চালক দ্রুত নৌকা নিয়ে গিয়ে তাদের কে উদ্ধার করি।এর পর গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস কে খবর দিলে তারা এসে মা ও ছেলে কে নিয়ে যায় গোয়ালন্দ হাসপাতালে। মা ও ছেল এখন চিকিৎসাধীন আছেন।
ভুক্তভোগী জানান, এক আগে আমার বড় ছেলে হারিয়ে গিয়াছে ঢাকা মিরপুর মাজার থেকে। তার কোন খোঁজ না পেয়ে দেশের বাড়ীতে চলে আসি। আমার স্বামী আমাকে ভাত কাপড় দেয় না। আমি অসুস্থ্য কাজ কর্ম করতে পারি না। আমি এই ছেলে নিয়ে কি করে খাব। তাই আমি ছেলে সহ নদী ঝাঁপ দেই আত্মহত্যা করার জন্য।