মোঃ ইমদাদুল হক রানা : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দী থানার অন্তর্গত বহরপুর ইউনিয়নের,বহরপুর ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে বালিয়াকান্দী ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হন। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
শনিবার ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাতটার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বহরপুর ডাঙ্গীপাড়ার মোঃ ফারুক শেখ,পিতা মোঃ মুকাই শেখ এর বসতবাড়ির থাকার ঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর, নগত টাকা সহ সংসারের যাবতীয় আসবাবপত্র, ধান, চাউল, পিয়াজ একেবারে পুরে ভষ্মিভুত হয়ে যায়।
পরনের কাপড় ছাড়া কিছু রক্ষা করতে পারেনাই। সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় রাস্তার পাশে ছিলো থাকার ঘর সাথে গোয়ালঘর,তারপর রান্নাঘর একই লাইনে।এখন পোড়াভিটার উপর দাঁড়িয়ে আছে কিছু সিমেন্টের খুটি পরে আছে পোড়াটিন,ধানগুলো পুড়েগেছে। পেঁয়াজ- রসুন গুলো পুড়ে কয়লার সঙ্গে মিশে আছে। করুন দৃশ্য। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আহাজারি।
কথা হয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রধান মোঃ ফারুক শেখের সঙ্গে। তিনি বলেন পেশায় তিনি একজন ভ্যান চালক, অভাবের সংসার টানাটানির উপর চলছিলো।অগ্নিকাণ্ডের ফলে একেবারে নিঃস হয়ে গেলাম।পরনে কাপর ছাড়া সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রান্নার চুলা থেকে থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে স্থানীয়রা জানায়।
বহরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আঃ শুকুর জানান আগুনে পরিবারের সদস্যরা কেবল পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই বের করতে পারিনি। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তিনি সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও বর্তমান রেল মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন সরকারের পক্ষ থেকে যেন অসহায় পরিবারটির মাথা গোজা ঠাই করে দেন। ব্যাক্তি গতভাবে সহযোগীতার আশ্বাসদেন।
স্থানীয় ইকরাম বলেন সরকারের পক্ষ থেকে যেন অসহায় পরিবারটির মাথাগোঁজার ঠাই করে দেয়া হয় আমার সেটাই দাবী।
বাড়ীর গৃহকত্রী মোছাম্মৎ ছালমা লমা বেগম অগ্নিকান্ড়ে সময় গোয়াল থেকে গরু বের করার সময় আগুনে পোড়া টিন এসে তাঁর গায়ে লেগে পিঠ ও হাত আগুনে ঝলসে যায়। রাজবাড়ী সদর হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।’