নেহাল আহমেদ:হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতটি মুসলমানরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে উদ্যাপন করে থাকেন। এই রাতে মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।
মহিমান্বিত এই রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন। শবে বরাত মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়।
আজ পবিত্র শবেবরাত অর্থাৎ পাপমুক্তির রজনী। হাদিস শরিফে এই রাতকে বলা হয়েছে লায়লাতুন নিসফি মিন শাবান অর্থাৎ শাবান মাসের পঞ্চদশ রাতই হল শবেবরাত। শব শব্দটি ফার্সি, এর অর্থ রাত আর বরাত শব্দটি আরবি যার অর্থ দায়মুক্তি, নাজাত, পরিত্রাণ ইত্যাদি। প্রকৃত উচ্চারণ শব-ই বারাআত। কিন্তু বহুল ব্যবহারের ফলে একে শবেবরাত বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এই রাতকে লাইলাতুল মুবারাকাহ অর্থাৎ বরকতময় রাত বলা হয়েছে।
পবিত্র এ রাতে মহান আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের প্রতি বরকত ও রহমত নাজিল করেন। এ কারণেই এ রাতকে লাইলাতুল বরাত বা ভাগ্য পরিবর্তনের রাত বলা হয়।
মহিমান্বিত এ রাত পবিত্র রমজান আগমনের সুখবর বহন করে। এ উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ, প্রবন্ধ, সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো শবে বরাতের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
শবে বরাত ফার্সি শব্দ। ‘শব’ অর্থ রাত আর ‘বরাত’ অর্থ ভাগ্য। শবে বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, এ রাতেই মুমিনদের কার্যাবলী আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়।
প্রতি বছরের মতো এবারো শবে বরাত উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান রাতভর ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকবেন।
এ সময় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, জিকির আজকার ও মিলাদের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।