আলোর ভেতরে এসো
এখনো অন্ধকারে বসে আছো
অন্ধকার জীবন নয়
আলোর ভেতরে আসো
তোমার বেলকনিতে সোনাঝরি রোদ্দুর
খিড়কি পেরিয়ে একবার সে আলোয় নিজেকে স্নাত করো।
দেখবে কতটা শোভাময় জ্যোতি তোমার হৃদয় স্পর্শ করে যায়।
নিজেকে আবৃত রাখার মাঝে কোন কৃতিত্ব নেই।
জেগে ওঠো মাতা ভগিনী প্রেয়সী
স্বর্নময়ী কিশোরী।
লাউয়ের ডগার মতো
তোমার বারান্দায় যে তকতকে প্রকৃতির একমুঠো সৌন্দর্য দেখছো সেটি তোমার নিজস্বতা।
ওই মুক্ত বিহঙ্গের সাথে একবার মিতালি করে দেখো
খুলে ফেলো শৃংখলিত বেরি।
যে পায়ে নুপুরের রিনিঝিনি সেখানে বড়ই বেমানান বন্দী জীবনের নিদারুণ হাহাকার।
কেউ তোমাকে মুক্ত করে দেবে না
তোমার জীবন তোমার।
আনন্দটুকুও তোমার। কারো আনন্দের অংশীদারিত্বে নিজেকে মেলাতে না পারলে কেন নিস্পেষিত হয়ে অন্ধকারে খোলসে ডুকরে মরবে।
এখন সময় তোমার! তাকে বেমানান ভেবে আর মরো না।
প্রতিবার মরতে মরতে বাঁচার মধ্যে কোন সার্থকতা নেই।
শক্ত হাতে হাল ধরো ওই আবাদি জমির ফসলী তোমার প্রাপ্য অধিকার।
বুঝে নিতে হয়।জীবনের সহজ মূল্য কেউ কাউকে দেয় না।
তাই তো খুচরো পয়সার মত নিজেকে বিকিয়ে দেয়ার মধ্যে কোন পরিতৃপ্তি নেই।
আলোর ভেতরে এসো
তোমার জ্যোতি ক্ষনপ্রভা নয়।
তুমি প্রজ্জ্বলিত।
শিখা অনিরুদ্ধ।
ওই পাখি ফুল নদী প্রকৃতি তোমার সুরেই গায় তোমার দীপ্ত মনের গান।
তাই আর পিছিয়ে নয়
এখন সময় এসেছে তোমাকে নিয়ে ভাববার।
অসীম আকাশে নিজেকে মেলে ধরার
তাই আলোর ভেতরে এসো তুমি