স্টাফ রিপোর্টার: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদেরজ কয়েকটি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগীরা।
শনিবার দুপুরে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ কর্মসূচী পালন করে তিন শতাধিক ভুক্তভোগী নারী পুরুষ। এতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কবির হোসেন, ভূক্তভোগী রইচ শেখ, মোতালেব মোল্লাসহ অনেকেই বক্তব্য দেন পরে নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, কয়েকজন ইউপি সদস্য বিধবাভাতা, বয়স্ক ভাতা ও ভিডব্লিউবি কার্ডসহ বিভিন্ন ভাতা কার্ড করে দেওয়ার জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ থেকে ৫হাজার টাকা করে নেন। টাকা ছাড়া তারা কাউকে কার্ড করে দেন না। আবার এমন ব্যক্তিও আছে যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন অথচ কার্ড করে দেননি। এসব ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে আরো বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে বলে দাবী করে তারা।
ভুক্তভোগী রাহেলা বেগম বলেন, ১২ বছর আগে আমার স্বামী আবু বক্কার ফকির মারা যান। আমার কাছ থেকে বিধবা ভাতা করে দেওয়ার জন্য আমার ওয়ার্ডের মেম্বার (৮নং ওয়ার্ড) আব্দুল কুদ্দুস ২৫শত টাকা নেন। কিন্তু তিনি ভাতা কার্ডও করে দেননি। এমনকি টাকাও ফেরত দেয়নি।
একই ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী জহুরা বেগম, রইচ শেখ, কুলসুম বেগম নার্গিস ও মোতালেব মোল্লা বলেন, তাদের কাছ থেকেও ইউপি সদস্য আব্দুস কুদ্দুস ভাতার কার্ড করে দেওয়ার টাকা নিয়েছেন। অথচ তিনি কার্ডও করে দেননি, টাকাও ফেরত দেননি। এমন অভিযোগ রয়েছে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাফিয়া বেগম, মর্জিনা বেগম, ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান ও কাবিল উদ্দিনের বিরুদ্ধেও।
ভুক্তভোগী ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মামুন বলেন, আমার কোন ঘর ছিল না। আমার ওয়ার্ডের মেম্বার আমিনুর রহমান বাবু আমাকে সরকারী ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নেয়। আমি ধার দেনা করে তাকে ওই ৭০হাজার টাকা দিয়েছিলাম। পরবর্তী বাবু মেম্বার আমাকে ঘর দেননি টাকাও ফেরত দেননি। এ বিষয়ে আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
ভুক্তভোগী ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মামুন বলেন, আমার কোন ঘর ছিল না। আমার ওয়ার্ডের মেম্বার আমিনুর রহমান বাবু আমাকে সরকারী ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নেয়। আমি ধার দেনা করে তাকে ওই ৭০হাজার টাকা দিয়েছিলাম। পরবর্তী মেম্বার বাবু আমাকে সরকারী ঘর দেননি। এমনকি টাকাও ফেরত দেননি। এ বিষয়ে আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
রোজিনা নামে এক নারী বলেন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাফিয়া আমার কাছ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে ভিডব্লিউবি কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ৩৫শত টাকা নেন। কিন্তু তিনি আমাকে কার্ড করে দেননি। টাকাও ফেরত দেননি। মহিলা ইউপি সদস্য শাফিয়ার বিরুদ্ধে এমন আরো অভিযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগীরা।
ইউপি সদস্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গত ৭ই সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।’
rj/rana/bk/