ডেস্ক নিউজঃ ঈদকে সামনে রেখে দৌলতদিয়া ঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে মোঃ হাবলু চৌধুরী (৬৫) ও ২। ফজলু মোল্লা (৪৯) নামে দুই চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) ।
এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী ডিবি’র ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান খান ।
তিনি জানান, ২০শে এপ্রিল ৪:০০ ঘটিকায় পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মনিরুজ্জামান খান, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, রাজবাড়ী এর নেতৃত্বে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে যাত্রাপথে জনসাধারনের নিরাপত্তা মূলক ডিউটি পরিচালনা করাকালীন জনৈক মাহেন্দ গাড়ীর মালিক মোঃ মজনু সরদার (৩২), জাতীয় পরিচয়পত্র নং-২৩৯১৮১৭৩৯৮, পিতা-মোঃ জলিল সরদার, মাতা- গোলাপী বেগম, সাং-পূর্ব তেনাপচা, থানা-গোয়ালন্দঘাট, জেলা-রাজবাড়ী এর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া সাকিনস্থ বাস টার্মিনালের কুষ্টিয়া বাস কাউন্টারের পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করিয়া ডিবি রাজবাড়ীর একটি টিম মাহেন্দ্র গাড়ী চালকদের ভীত সন্ত্রস্ত এবং বাধ্যকরে ১৭০ টাকা চাঁদার ঈদ মোবারক লেখা স্টিকার এবং ১০০ টাকা চাঁদার ডিপারচার শ্লিপ ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করার সময় আসামী ১। মোঃ হাবলু চৌধুরী (৬৫), পিতাঃ মৃত-আরশেদ আলী চৌধুরী, সাং-কাটাখালী (উত্তর চর পাচুরিয়া), ৭ নং ওয়ার্ড, ২। ফজলু মোল্লা (৪৯), পিতাঃ মৃত-জলফু মোল্লা, সাং-বাহিরচর দৌলতদিয়া, ১ নং ওয়ার্ড, উভয় থানাঃ গোয়ালন্দঘাট, জেলাঃ রাজবাড়ীদ্বয়কে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত і) মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ (জুয়েল) সাধারন সম্পাদক কর্তৃক স্বাক্ষরিত, একটি ঈদ মোবারক লেখা স্টিকার, যাহাতে রাজবাড়ী জেলা ডিজেল চালিত অটোরিক্স/অটোটেম্পু মালিক গ্রুপ, বার্ণিজ্য মন্ত্রণালয় রেজি: নং-১৩/১৩, ⅱ) ঈদ উপলক্ষে সংগঠনের ব্যয় ও দূর্ঘটনা প্রতিরোধের ব্যয় বাবদ চাঁদা আদায়ের রশিদ বই দুইটি, যাহার প্রতিটিতে ১০০টি পাতা আছে, প্রথমটির রশিদ নাম্বার ১১০১ থেকে ১,২০০ পর্যন্ত, অপরটি ১০০১ থেকে ১১০০ পর্যন্ত, ২য় বইটির ১০৮২ থেকে ১১০০ পর্যন্ত অব্যবহৃত স্লিপ সহ হাতে নাতে আটক করেন। আটককৃত আসামীদের কাছ থেকে মাহেন্দ্র গাড়ীর মালিকদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদার ৮,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক আসামী ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল এর নের্তৃত্ত্বে উক্ত চাঁদাবাজদের একটি গ্রুপ অবৈধভাবে ঈদকে সামনে রেখে মাহেন্দ্র মালিকদের নিকট থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছিল।
জানা যায় যে, উক্ত গ্রুপ দৌলতদিয়া থেকে রাজবাড়ী রোডে চলাচল করা প্রায় ২০০/২৫০ মাহেন্দ থেকে এভাবে চাঁদা আদায় করছিল। তাদেরকে গ্রেফতারে সাধারন মাহেন্দ্র মালিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। লোকজন উষ্মা প্রকাশ করে বলেছে পুলিশের কাছে তারা এমনটাই আশা করে। রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সব সময়ই জনগনের কল্যানে কাজ করে এবং পাশে থাকে। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন আছে।