ভালবাসা কখনো কালজীর্ণ নয়
তবে বয়সী বটবৃক্ষের মত শীতল
রবিঠাকুরের গীতবিতানের মতোই চিরন্তন।
দীর্ঘ পথ চলার পর যে সম্পর্কগুলো একদিন
চারা গাছ থেকে বিশ্বাস আর ভরসার,
বটবৃক্ষ হয়ে ওঠে।
নতুন নতুন গল্পের এক একটি ধাপে
অয়োময় হয়ে চিরকালের স্বর্গীয় অনুরণন জাগায় হৃদয়ের বাসন্তীকায়।
সেই ভালবাসা জীবনকে লালিত করে
এক একটি স্বপ্নিল কোজাগরীতে।
কিছু মানুষ পাশে থাকলে
জীবনের রাস্তাগুলো কখনোই বয়সী মনে হয় না
বরং মনে হয় বছর তিরিশ আগের সেই যে মধুময় স্মৃতির পশরা
অথবা
মুখোমুখি বুক স্টলে শুরু হওয়া
সেই আনকোরা নাবালক ভালোবাসার খুনসুটি
অথবা ভরদুপুর রোদ মাখা কাঁচা হাত কিংবা
বৃষ্টিতে ধোয়াওঠা চায়ের চুমুক
আজও পূর্ণিমা চাঁদের মতো
চেনা আকাশের গায়ে লেপটে আছে।।
হয়তো আজও ভালোবাসার সেই চেনাসুর
বুকের নিভৃতে নতুন নতুন গল্প কবিতায় অনাদি মিশ্রণ।।
সব সম্পর্ক শুধু প্রতিদিনের দেখা,জানা,আর চেনার মলাটে- আটকে থাকে না!
কিছু সম্পর্ক বিশুদ্ধ শান্তিনিকেতনের মতো-
শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত,
একটা কংক্রিটের সেতু হয়ে বেঁচে থাকে,
ঠিক যেভাবে একটা শিশু,
বৃদ্ধ বয়সেও শৈশবের আনাচে কানাচে
পুরাতন নিজেকে খোঁজে।
তারপর…জীবন বৃদ্ধ হয়…সম্পর্কের বয়স বাড়ে,
স্নিগ্ধ দুটি নদী একসাথে ভালোবাসার অভ্যাসে,
হাজার মান-অভিমানে
নিজেদের অস্তিত্বের চিহ্ন হিসেবে
নতুন প্রজন্মের ফসল সৃষ্টি করে।
কত মানুষই তো জীবনে আসে,
শেষ পর্যন্ত হাতেগোনা কিছু মানুষ
অভ্যাসের মতো থেকে যায়।
দীর্ঘ পথ চলার পর সম্পর্কটা একদিন
চারা গাছ থেকে বিশ্বাস আর ভরসার,
বটবৃক্ষ হয়ে ওঠে।
কবি : তাহমিনা মুন্নী