বিশুদ্ধ প্রেমের নীলাম্বরী
তাহমিনা মুন্নী
===============
আজ আকাশের মন খারাপ
চারধারে অনড় থমথমে ভাবাবিষ্ট
আমি অনুভাবী অন্তরে অলংকৃত করেছি
ভোরের শিশিরঙ্কে টুপটাপ কান্নার শব্দ
ঘরের লাগোয়া ছাদে ঢের বুঝে নিয়েছি।
নরম দূর্বাদল শ্যাম রুপালি চাঁদের কণার মতো।।
এমনি করে কতবার কতভাবে
বুকের নিভৃতচারী কষ্টের শিশিরবিন্দু গুলো
অল্প অল্প করে পাহাড়সম বেদনারস
সংবরণ করে ভালবাসার রৌদ্দুরে
আমি সেই রৌদ্দুর বুকে সেধেছি।।
কাছের মানুষ যখন এমনি করে
বুঝে শুনে অযাচিত যন্ত্রণায় দগ্ধ করে
অন্ধকার ধেয়ে আসে আমার বুকে
অসহায় শিশুর মত কেঁদেছি
বিশাল আকাশসমে খুঁজেছি
আমার হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নবৎ।
চিৎকার করেছি ভেতর অনুসত্তার কাছে—–
বহিরঙ্গে সে কান্নার জল কোনো
ঝর্ণাধারায় প্রবাহমান হতে দেখিনি
শুধু নির্বাক চেয়ে থেকেছি।।
অহেতুক পদযাত্রা————-
তবু থেমে নেই
আজও চলছি এলোমেলো কষ্টগুলোকে
নিশ্চলা সাথী করে
কখনো বন্ধ চোখ তবু মন খুলে দেই
আঁকড়ে ধরি শিশির ভেজা দূর্বাদল।
লেপটে ধরি প্রকৃতির শোভিত নীলাম্বর
মাতৃগর্ভের মত নিরেট ওই আকাশ প্রেম
আঁকড়ে বাঁচতে শিখেছি।
যখনই বিন্দু বিন্দু কষ্ট গুলো
সিন্ধু সিন্ধু বেদনায় করে সর্বহারা
নীলাভ্র ওই আকাশ ডেকে বলে
আমার মত হও
করো আমায় গ্রাস
পাবে স্বস্তির আশাবাদ।।
তাই মন খারাপের দিনগুলো আর
নিরাশ করেনা আমায়
সমূখ যাত্রায় মেলে ধরি বিশুদ্ধ
প্রেমের নীলাম্বরী।।
ভালবাসি নীলাভ বেদনার রং
কষ্টের রং তুলিতে জীবনের আঁকা ছবি
ক্ষণিক থেমে বুকে সেধে নেই
কুয়াশা কুয়াশা ধোয়া ধোয়া সুখ
এরই মাঝে বেঁচে রয় বিশুদ্ধ প্রেমের নীলাম্বরী।