বাগেরহাটে তৃতীয় ধাপে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড গড়েছে। বেড়েছে করোনা রোগীর সংখ্যা, শনাক্তের হার ৩২.০৫ %। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৫০ জন।
সোমবার (২৪জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মো: হাবিবুর রহমান জানান, করোণায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৫ জন। নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২১২ জন।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৫ জনের মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৬ জন, কচুয়ায় ১ জন, ফকিরহাটে ৭ জন, মোংলায় ২ জন,মোল্লাহাটে ৬ এবং চিতলমারী উপজেলায় ৩ জন রয়েছ। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি বাগেরহাটে ২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিল ৪ জন, ২০ জানুয়ারি ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৮ জন, ১৯ জানুয়ারি ৩৭ জনে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৪ জন, ১৮ জানুয়ারি ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিল ৩ জন। সে হিসেবে বাগেরহাটে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মাস্ক না পরা, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, হাত ধোয়ার অভ্যাস ত্যাগ ও সচেতনতার অভাবে বাগেরহাটে আক্রান্ত ও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, করোনাভাইরাসের বর্তমান ধরন ওমিক্রনে সংক্রমণ বেড়েছে। যার ফলে সচেতনতা বৃদ্ধি ও টিকা গ্রহণের প্রতি সবাইকে আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে। করোনা সংক্রমণ বন্ধে প্রথম থেকে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া যাতে সব নাগরিক টিকাগ্রহণ করতে পারেন, সেই লক্ষে আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। এ পর্যন্ত বাগেরহাটে ১১ লাখ ২ হাজার ২৬৯ জনকে আমরা প্রথম ডোজ দিয়েছি। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ৬২৪ জনকে। বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ২০ হাজার ৯০৫ জন। শিক্ষার্থীদের টিকা দানেও এগিয়ে রয়েছে বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ। রোববার পর্যন্ত বাগেরহাটে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬১ জন শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ এবং ৪৬ হাজার ৪৩৭ জন শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই মহামারী সংক্রামন মোকাবেলায় সবাইকে মাস্ক পরিধান ও নিয়মিত হাত ধোয়ার অনুরোধ করেন তিনি।