ডেস্ক নিউজঃ কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্প।
র্যাব-৮, ফরিদপুর ক্যাম্প গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যক্তি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানাধীন শাশুনিয়া গ্রামস্থ আবুল খায়ের মোল্লা (৫৭) এর বসত বাড়িতে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে অতি মূল্যবান পাথরের মূর্তি বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মোঃ শহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল ২০/১০/২০২০ তারিখ ১৬.৪৫ ঘটিকায় শাশুনিয়া গ্রামস্থ আবুল খায়ের মোল্লা (৫৭) এর বসত বাড়িতে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মোঃ আবুল খায়ের মোল্লা (৫৭), পিতা-মৃত ইয়াকুব আলী মোল্লা, মোঃ টুকু মুন্সি (৩৫), পিতা-মৃত আমির আলী মুন্সি উভয় থানা-মুকসুদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ এবং মোঃ রমজান মোল্লা (২৮), পিতা-মোঃ খোরশেদ মোল্লা, সাং-রাম নারায়নপুর, থানা-আমিনপুর, জেলাঃ পাবনা সহ সর্বমোট ০৩ জনকে আটক করে। এ সময় আটককৃত আসামীদের হেফাজতে থাকা একটি অতি পুরাতন পাথরের মূর্তি উদ্ধার করে।
উক্ত মূর্তিটি স্থানীয় স্বর্ণকার কষ্টি পাথরের তৈরি বিষ্ণু মূর্তি বলে নিশ্চিত করেন এবং তা পাল আমলে আনুমানিক ৭০০/১০০০ বৎসর পূর্বে তৈরি বলে অবহিত করেন।
ধৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায় যে, তারা চোরাচালান এবং বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মূল্যবান কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিটি বিগত প্রায় ছয় মাস নিজেদের হেফাজতে রেখেছিলো।
এ মূর্তিটির মূল অংশের উচ্চতা ২৬.৫ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি, ওজন ৩২ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি টাকা।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানায় মামলা রুজু করত হস্তান্তর করা হয়েছে। মুকসুদপুর থানা মামলা নং-২২ তারিখ ২০ অক্টোবর ।