নেহাল আহমেদ: পাট কাটার জন্য এই সময়ে কদর ও চাহিদা বেড়ে গেছে পাট কাটতে কৃষিশ্রমিক-মজুরদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অস্ত্র কাস্তের।
কামারশালাগুলোতে দিন-রাত সমানে কাজ করে চলেছেন তারা।নতুন কাস্তের পাশাপাশি পুরাতন কাস্তে শান দেয়া হচ্ছে
সরেজমিনে দেখা যায় রাজবাড়ী জেলার সর্বত্র এখন জোরেশোরে চলছে পাট কাটার মৌসুম। কামারশালাগুলোতে শোনা যাচ্ছে হাঁতুড়ি পেটানোর খট খট আর হাঁপরের ফুস ফুস শব্দও।
ব্যস্ত কৃষিশ্রমিকেরা পুরো মৌসুমে পাট কাটতে এক একজন ২/৩টি করে কাস্তে ব্যবহার করেন। তারা একজনের কাস্তে অন্যজনকে দিতে চান না।
তাই সারাদিন কাজ শেষে নিজের পছন্দসই কাস্তে কিনতে বা বানাতে সন্ধ্যার পরেই ভিড় করছেন কামারশালগুলোতে।
প্রতিটি কাস্তের পাইকারি মূল্য ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা সেগুলো কিনে হাটে-বাজারে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।আর পুরাতন কাস্তে শান দিতে ১০০ থেকে ৬০ টাকা মজুরী নিচ্ছে
কামার রা।
চন্দনী বাজারের প্রদ্যুৎ কামার জানান, কর্মীদের সহায়তায় প্রতিদিন এক একজন ৫ থেকে ১০টি করে কাস্তে তৈরি করতে পারেন। কেউ কেউ এর চেয়েও বেশি বানিয়ে থাকেন। আগে কাস্তের দাম কম থাকলেও মূল্যবৃদ্ধিতেই তাদের তৈরি করা কাস্তেসহ অন্য পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলেও জানান তারা।তাছাড়া আগে একটা হাঁপড় তৈরি করতে তিন চার হাজার টাকা খরচ হতো। এখন খরচ পড়ে পাঁচ ছয় হাজার টাকা।
কাস্তে কিনতে আসা ছালাম মন্ডল জানান আগে একটা কাস্তে কিনতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকার ভালো মানের কাস্তে পাওয়া যেত এখন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তার সাথে বেড়েছে শ্রমিকের দাম।পাট কাটতে এক একজন কে দিতে হচ্ছে ৭০০ টাকা মজুরী। বর্তমানে বাছাই পাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫শ থেকে ২৬ শ টাকা মন। সারের দাম, পাট জাগানোর পানি নাই,
কৃষকরা বাচঁবে কি ভাবে।