নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ী: রাজবাড়ী কৃষকরা বতর শুরু করে দিয়েছেন। এখন তাদের বিন্দু মাত্র ফুসরাত নেই। মাঠের পর মাঠ সোনালী ধানের ঝিলিক। এতো ঝড় আর, বৃষ্টি,কিংবা খড়া তারপরও এবার আবাদ ভাল হয়েছে।নতুন ধানের গন্ধে চারপাশ মৌ মৌ গন্ধ ছড়াচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্ত পুরে নতুন ধান কাটছে কৃষকেরা । বাড়ীর উঠানে কৃষকের বৌ ধান শুকাতে দিচ্ছে। আর কৃষানীর মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। পাওয়ানাদার, এনজিও আর সার কীটনাশকের দোকানদাররা মুখিয়ে রয়েছে। মাঠে দেখলাম কৃষকের ঘর্মাক্ত শরীরে লেগে আছে জামা কাপড়।এ সময় বাড়ীর সবাই বতর নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটায়।গ্রামের অধিকতর সুবিধা বঞ্চিতরা তাদের সাহায্য করে।
কৃষকের বক্তব্য, কষ্টের হাসফাঁস জীবন। তারপরও থেমে নেই ধান কাটা। নবান্নের উৎসব বলে কথা। চলমান বতর (নবান্ন) যাতে নির্বিঘ্নে কৃষকরা সম্পন্ন করতে পারেন সেই প্রত্যাশা থাকলো।পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসি খুশিতে বিষম খেয়ে/ আরও উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে।
কবি সুফিয়া কামালের কবিতায় গ্রামবাংলার কিশোর বয়সের পিঠা খাওয়ার আনন্দ ধরা পড়ে এইভাবে। ‘ভাওয়াইয়া গানেও রয়েছে মানুষের পিঠা খাওয়ার বাসনার কথা — ‘মনটা মোর পিঠা খাবার চায়’।বতরের সাথে পিঠা পায়েসের সাথে সম্পর্ক নীবিড়।
সাধারণত নতুন ধান ওঠার পরে আতপ চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি হয় পিঠা। সব ঋতুতেই পিঠা তৈরি হয়। তবে শীতে খেজুর গুড় ও খেজুরের রসে ভেজা পিঠার স্বাদ ভোলা যায় না। সেজন্য শীতকালেই রকমারি পিঠা রয়েছে আমাদের সংস্কৃতিতে।