নেহাল আহমেদ রাজবাড়ী: রাজবাড়ী বিভিন্ন বাজারে খড়ের আঁটির হাট বসছে। আমন মৌসুমে বর্তমানে ধান কাটা শুরু হয়েছে।ধানের পর বাড়তি অর্থের জন্য কৃষকরা এই ধানের খড় বিক্রি করছেন।
সদর উপজেলার রাজবাড়ী বাজারে ধানের খড় বিক্রি করতে এসেছেন সুর্যনগরের আবু বকর সিদ্দিক ও পাচুঁরিয়ার গ্রামের রাসেল মিয়া। এতে তাদের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। খড় বিক্রি করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষক।
প্রতিটি ছোট খড়ের আঁটি ছোট ৪ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় খড়ের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। প্রতিদিন ১শ থেকে ২শ খড়ের আঁটি বিক্রি হয়। আর প্রতি বিঘা জমি থেকে কমপক্ষে ৩ হাজার টাকার খড়ের আঁটি বিক্রি করেন কৃষক।
পাচুঁরিয়ার কৃষক এ বছর ৫০ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন তিনি বলেন এই জমি থেকে প্রায় ৮শ খড়ের আঁটি পাইছি। প্রতিটি আঁটি ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি করছি। এই পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার খড় বিক্রি করে অনেক লাভবান হইছি। আরো প্রায় ১০ হাজার টাকার খড় বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
সুর্যনগরেরর কৃষক রাসেল মিয়া বলেন, এ বছর খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা যেমন খুশি তেমনি খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় আবার চিন্তার মধ্যে থাকি। যখন খড়া কিংবা অতিবৃষ্টিতে গোখাদ্যের অভাব হয় তখন এগুলো আমাদেরই কিনতে হয়।যাদের সামর্থ আছে তারা পালা দিয়ে মজুদ করে রেখে দেয়।
রামকান্তপুরে কৃষক লতিফ মিয়া বলেন আগে ধানের এই খড় নাড়া হিসাবে ব্যবহার করতাম
কিছু ক্ষেতে পুড়াতাম।তাদে জমি উর্বর হতো এখন মহাজনরা আমাদের নিকট থেকে কম দামে খড় কিনছে পরে আমাদের নিকটই বেশী দামে বিক্রি করবে।
সরেজমিন রাজবাড়ীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কৃষকেরা ধান মাড়াই করে খড় সংগ্রহ করছে।তাদের ধান মাড়াইয়ের পরিবর্তন এসেছে।আগে যেমন বড় বড় উঠানে গরু দিয়ে ধান মাড়াই করা হতো এখন কৃষকেরা মেশিনের সাহার্য্যে ধান মাড়াই করছে। উপজেলার সুর্যনগর, পাচুঁরিয়া রামকান্তপুর সহ বিভিন্ন এলকায় দেখা যায়।কৃষকরা ধান কেটে এনে রাখছে। বাড়ীতে নতুন চালের পিঠা পায়েস তৈরি হচ্ছে কোথাও।
কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ৯ হাজার টাকার খড় বিক্রি করছি। একই গ্রামের মিলন মিয়া ৮ হাজার টাকার খড় বিক্রি করেছেন। তারা জানান, এই খড় বিক্রি করেই আমাদের ধান চাষের খরচের টাকা উঠছে।
তারা বলেন, অথচ কয়েক বছর আগে খড়ের কোন মূল্যই ছিল না। ক্ষেত থেকে নিয়ে যেত অনেকেই। ক্ষেতেই পচে নষ্ট হতো। এখন গরু ছাগল পালনে অনেকেই এগিয়ে আসছেন।তা ছাড়া গবাদী পশুর খাদ্যের দাম বেশী হওয়ার কারনে ও ঘাস ও খড়ের চাহিদা বেড়েছে।