এস এম রাহাত হোসেন ফারুখ: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়া গড়াই নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। প্রতি বছরই নতুন করে বাড়ছে ভাঙনের পরিধি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহল ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। কিন্তু নীরব ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
উপজেলার নারুয়া খেয়া ঘাটের অদুরে বাকসাডাঙ্গী এলাকায় গড়াই নদীর মাঝ খানে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে তাদের বালু তোলার কাজ।এতে করে পানির প্রবাহের গতি পরিবর্তন হয় নদী পার ভেঙে এলাকার ফসলি জমি সহ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। তবে বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কিছুই বলতে সাহস পাচ্ছে না স্থানীয়রা।
জানা গেছে, এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি। যদিও বালু উত্তোলনের জন্য তাদের কাছে কোন অনুমতি নেই । এতে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় নদীর মাঝখানে ও কুল ঘেঁষে তিনটি ড্রেজার মেশিন বসানো। এর প্রতিটি মেশিনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একটি করে বাল্কহেড। এসব ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে দেদারচ্ছে তোলা হচ্ছে বালু।সেই বালু বাল্কহেডের এর মাধ্যমে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বাকসাডাঙ্গী গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন, এই অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে পাকা রাস্তাসহ বাড়িঘর ফসলি জমি প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তারা আরও বলেন, নদী থেকে বালু তোলার কারণে নারুয়া বাজার থেকে বাকসাডাঙ্গী হয়ে কোনাগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেশিরভাগ অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। বাকি যতোটুকু আছে এটুকু চলে গেলে কৃষক তার উৎপাদিত ফসল নারুয়া হাটে আনতে পারবে না।সেই সাথে এই সড়কটি ভেঙে গেলে বাকসাডাঙ্গী, কোনাগ্রাম ও চর-ঘিকমলার মাঠে নদীর পানি ডুকে পড়বে। এতে করে আর ফসল আর উৎপাদন করতে পারবে না কৃষক।
ড্রেজার মেশিন চালক মো: মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কুষ্টিয়া থেকে আসছি।নারুয়ার বাদশা মোল্লা আমাদের ভাড়া করে নিয়ে আসছে। আমরা মাঝ নদী থেকে বালু তোলার পরে কুলে গিয়ে আনলোড করি।প্রশাসন বন্ধ করলে আমরা চলে যাবো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাদশা মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথাই বলতে রাজি হয়নি।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী রায় বলেন, নারুয়াতে আমাদের কোন বালু মহল নেই। যদি কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’