গোয়ালন্দ রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া হাচেন মোল্লার পাড়ায় পুলিশি অভিযানে চোরাই মোটরসাইকেল সহ গাজী হাওলাদার (৭৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাকিবুল ইসলাম।
আটককৃত গাজী হাওলাদার উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের হাচেন মোল্লার পাড়ার মৃত ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা সুত্রে জানাযায়, ২৪শে ডিসেম্বর মধ্যরাতে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ছাহের মন্ডল পাড়ায় গভীর রাতে এক দরিদ্র কৃষকের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে দুইটি ষাড় গরু চুরি হয়। ভুক্তভোগী কৃষক অনেক ধারদেনা করে লাল এবং কালো রংয়ের ষাড় দুটি হাট থেকে ক্রয় করে এতদিন লালন-পালন করছিলেন। ইচ্ছে ছিল আগামী কোরবানীর ঈদে বিক্রি করবেন। ষাঁড় হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন দরিদ্র কৃষক। এমতাবস্থায় গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ গোপনসুত্রে জানতে পারেন দৌলতদিয়া হাচেন মোল্লা পাড়ার গাজী হাওলাদারের বাড়িতে চোরাই ষাড় গরু বেচাকেনা হয়। পূর্বেও তার বিরুদ্ধে মানিকগন্জ ও গোয়ালন্দ ঘাট থানায় এব্যাপারে দুটি মামলা রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত তিনটায় পুলিশ তার বাড়ি ঘিরে রাখে এসময় তার বাড়িতে একটি গরুর কাটা অংশ ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে যাচাই-বাছাই এর জন্য পুলিশ গরুগুলো থানায় নিয়ে আসে এবং প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করে তবে চুরি হয়ে যাওয়া গরু গুলো এখানে পাওয়া যায়নি। এসময় তার বাড়ি হতে ১৬০ সিসির একটি মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, গাজী হাওলাদার এর বাড়িতে প্রায় দশ ফুট দেয়াল দিয়ে চারদিকে ঘেরা। তিনি ছেলে সহ কসাইয়ের কাজ করেন। বেশির ভাগ সময় রাতের বেলায় তার বাড়িতে গরু জবাই করা হয়। এগুলো কেউ দেখতে পায় না। নাম না প্রকাশ করে একাধিক স্থানীয় বলেন শুনেছি তার বাড়ির বিশাল গোয়াল ঘর এবং এর নিচে দশ ফুট দেয়াল দিয়ে আরেকটি ঘর করা আছে। ঘটনার দিন স্থানীয় সাংবাদিক সহ লোকজন তার বারান্দায় গরুর রান ঝুলে থাকতে দেখা যায় এসময় তিনি জানান, রাতে একজনের একটা অসুস্থ গরু ১৮ হাজার টাকা দিয়ে কিনছেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, উপজেলার উজানচর এক দরিদ্র কৃষকের দুটি ষাড় গরু চুরি হওয়ায় পুলিশ অভিযানে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ-সময় তার বাড়িতে একটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ দশটি ষাড় থানায় নিয়ে এসে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই গরুগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে কি না তদন্ত চলছে।
sr.g/rj