মোজাম্মেলহক লালটু, গোয়ালন্দ: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা বসত বাড়ির আঙ্গিনাসহ কৃষি জমি ফাঁকা রাখা যাবেনা। কৃষি জমির সবোর্চ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে এবং সরা বছর সবজির চাহিদা মেটাতে দিনে দিনে বাড়ছে পুষ্টি বাগান।
সরেজমিনে আলাপকালে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ীর আঙ্গিনায় ও পতিত জমিতে পুষ্টি বাগান করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছেন।পুষ্টি চাষিরা পুষ্টি বাগান করে পরিবারের প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরন ও লাভের আশায় নিজ উদ্দ্যোগে প্রায় সব বাড়ীর আঙ্গিনা ও পতিত জমিতে হচ্ছে নানা ধরনের সবজি চাষ। এতে করে কৃষকেরা পারিবারিক ভাবে লাভোবান হচ্ছে।
পরিবারিক পুষ্টি চাষে সফল চাষী হুমায়ন বলেন, বাড়ির আঙ্গিনা জায়গাটা আগে খালি পড়ে ছিলো। এখন সেখানে আমি নানা রকমের শাক সবজি লাগাই।আর সেখান থেকে কিছু আমরা খাই আর কিছিু বিক্রি করে টাকা উপার্জিত করি। এর মধ্যে পুষ্টি বাগান থেকে সুফল পেতে শুরু করেছি ও বাজারে বিক্রির মাধ্যমে অর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
চরাঞ্চলে আরেক কৃষক জামাল সরদার বলেন, বাড়ীর আঙ্গিনায় খালি জায়গা ও পতিত জমিতে পুষ্টি বাগান করছি। পুষ্টি বাগান গুলোতে ভালো ফলন হয়েছে। পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে টাকা উপার্জিত করছি। পুষ্টি চাষে খরচ খুবী কম লাভ বেশি। পুষ্টি বাগান ৪০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ঘরে আসতে শুরু করে। পুষ্টি বাগান করাতে এখন আমার আর অনাবাদি কোন জমি নেই। পুষ্টি বাগান করে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি।সামনে বছরে আরো বেশি করে কয়েক বিঘা জমিতে পুষ্টি চাষ করিবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকনুজামান বলেন, এই উপজেলায় বাড়ীর আঙ্গিনায় ও পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান চাষ হয়েছে ১ শত ৫৪ টি।