রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রবাসী আল আমিন (২৩) হত্যাকাণ্ডের মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি মেগা সরদার (৪৭) কে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ থানা পুলিশ। রবিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয় এবং ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। গ্রেফতার মেগা সরদার পাবনা জেলার আমিনপুর থানার ধাড়াই গ্রামের মৃত মোন্তাজ সরদারের ছেলে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে আসামি মেগা সরদারকে গ্রেফতার করা হয় ,তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরোও জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, পাবনা জেলার আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের রামনারায়নপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আল আমিন গত প্রায় ৭ বছর মালয়েশিয়ায় কর্মরত থাকার পর চার মাস আগে দেশে আসেন। ১৫-১৬ দিন আগে এজাহারনামীয় একজন তার কাছে চা খাওয়ার জন্য ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় মোবাইলে আল আমিনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। গত শুক্রবার দুপুরে আল আমিন তার মামা লিটন ও বোন আকলিমাকে নিয়ে ঢালারচরে মেয়েকে দেখতে যান। খাওয়া-দাওয়ার পর ফুফাতো ভগ্নিপতি মেগা সরদারকে সঙ্গে নিয়ে আল আমিন মোটরসাইকেলযোগে গোয়ালন্দের রাখালগাছি বাজারের দিকে রওনা দেন। পথে রাখালগাছি বাজার এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এজাহারভুক্ত ৪জন ও অজ্ঞাত ৪-৫ জন ব্যক্তি চারটি মোটরসাইকেল যোগে এসে আল আমিনের পথরোধ করে। এ সময় তারা আল আমিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। প্রাণে বাঁচতে আল আমিন পাশের পদ্মার নদীতে ঝাঁপ দিলে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন। ঘটনার পর খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও কাজিরহাট নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্পিডবোট ও ডুবুরি নিয়ে খোঁজাখুঁজি করে। পরদিন শনিবার দুপুরে রাখালগাছি খেয়াঘাটের পাশে নদী থেকে আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার রাতেই নিহতের মামা লিটন গাজী বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ৪জনের নাম উল্লেখ করে ৪-৫ জন অজ্ঞাত্নামা আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানান গোয়ালন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ রাকিবুল ইসলাম ।”