দেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। এ বছরের কয়েক দফায় পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ফেরিসহ কয়েক হাজার পরিবার।
বৃহঃপ্রতিবার ভোর থেকে লঞ্চঘাট এলাকায় আবারো ভয়াবহ ভাঙনের শিকার হয়েছে পদ্মা নদীতে। ভোর থেকে ভাঙনে লঞ্চঘাট এলাকার প্রায় ৩০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীতীরবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বেশ কিছু বাড়িঘর। হুমকির মধ্যে রয়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তের লঞ্চঘাটটি।
স্থানীয়রা জানান, মাঝরাত থেকে আবারো পদ্মা নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে লঞ্চ ঘাট এলাকায়। বেশ কিছুদিন পূর্বে অপিরিকল্পিত ভাবে জিও টিউব ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙন রক্ষায় সেগুলো কাজে আসেনি। লঞ্চঘাট এলাকায় প্রায় ৫০মিটার অংশ ভেঙে ধসে গিয়েছে। বেশ কিছু বাড়ীঘর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যেকোন সময় লঞ্চঘাট বন্ধ করে দিতে পারে কর্তৃপক্ষ।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে দায়িত্বরত (বিআইডব্লিউটিএর) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লঞ্চঘাটটি মূলতো হুমকির মধ্যে রয়েছে। যেকোন সময় লঞ্চঘাট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান লঞ্চঘাট এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন। আসলে লঞ্চঘাট স্থাপন করার মতো কোন জায়গা না থাকার কারণে ঝুঁকির মধ্যে লঞ্চঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে লঞ্চঘাট এলাকার বেশ কিছু অংশ জিও টিউব ব্যাগ সহ পানির নিচে ধসে গেছে। এটি আমার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে। এ রকম ভাঙতে থাকলে মানচিত্র থেকে দৌলতদিয়ায় নাম মুছে যাবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ বলেন, ভাঙনের ঘটনা শুনে সেখানে যাচ্ছি। পরিস্থিতি দেখে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।