Monday, November 18, 2024

গোয়ালন্দে গৃহবধূর মৃত্যুর পর পালিয়েছে স্বামী

মোজাম্মেল হক লালটু, গোয়ালন্দঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক গৃহবধূর অপমৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি তার স্বামী তাকে গলাটিপে হত্যা করেছে।

নিহত গৃহবধূর নাম সুমিতা আক্তার (২৫)। সে উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওয়ালজানি গ্রামের দরিদ্র কৃষক সাইদ সরদারের মেয়ে। সে ৪ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানের জননী।

অভিযুক্ত স্বামীর নাম মামুন সরদার। সে একই ইউনিয়নের পূর্ব তেনাপঁচা নতুনপাড়ার রাজ্জাক সরদারের ছেলে। তার বড় চাচা দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুল ইসলাম।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শনিবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ীর মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির পরিবারের সকল সদস্য বাড়ি থেকে পালিয়েছে।

নিহত গৃহবধূর বাবা সাঈদ সরদার অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার মেয়েকে জামাই মামুন গলাটিপে হত্যা করার পর গলায় রশি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে।পরে সে বাড়ি হতে পালিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে শ্বশুর রাজ্জাক সরদার ও দেবর বাদল তার মেয়েকে রাত সারে ৮ টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।কিন্তু মৃত্যু নিশ্চিত জেনে তারাও লাশ রেখে পালিয়ে যায় এবং আমাকে ফোন করে ওর (সুমিতা)অসুস্হতার কথা জানায়।

তিনি আরও বলেন, মামুন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকসেবী।সে ইতিপূর্বে ২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।সে মামলায় সে জামিনে রয়েছে। নেশার টাকার জন্য সে আমার ও আমার মেয়ের উপর নানাভাবে চাপ দিত।প্রতিবাদ করলে মেয়েকে অনেক মারধর করতো।এ নিয়ে অনেকবার এলাকায় বিচার- শালিস হয়েছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, তারা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে বুধবার ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত গৃহবধূর স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়েছে। গৃহবধুর বাবা সাইদ সরদার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করছেন। গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত কারন জানা যাবে। সে ক্ষেত্রে রিপোর্টের আলোকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here