মোজাম্মেলহক, গোয়ালন্দ:রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের তেনাপচা গ্রামের কয়েক শত পরিবার ও যানবাহনের চলাচলে একমাত্র ভরসা ব্রীজটি রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। যে কোন মহুতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ব্রীজটির মাঝ খানে ভেঙে দেবে রয়েছে। সেই ব্রীজটি উপর দিয়ে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন সহ দেবগ্রাম ইউনিয়নের কয়েক হাজার লোক ও যানবাহন চলাচলের একমাত্র ভরসা ব্রীজটি ভেঙে দেবে রয়েছে। তার উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন সহ মানুষ চলাচল করছে তাতে যে কোন সময় ব্রীজটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
স্থানীয়রা বলেন, এক বছর ধরে এই ব্রীজটি হেলে পড়ে আছে। তার উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দুটি ইউনিয়নের লোকজনসহ যানবাহন চলাচল করছে। ব্রীজটি উপর দিয়ে চলাচলের সময় আতংকে থাকে এই এলাকার লোকজন।
বছর খানেক আগে ব্রীজের নিচ দিয়ে ক্যানালের সংস্কারের কাজ করাতে মাটি ধসে যাওয়ায় ব্রীজটি হেলে পড়ে আছে। এবার যদি বর্ষায় পানি বাড়ে তাহলে যে কোন সময় ব্রীজটি ধসে পড়বে। তাতে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষদের এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটির দিকে নজর দেওয়া উচিত।
তেনাপচা গ্রামের বাসীন্দা রতন আলী বলেন, যে ক্যানালটির উপর দিয়ে ব্রীজটি তৈরী করা হয়েছে। সেই ক্যানালটির খনন কাজ গেলবার ভেকুমেশিন দিয়ে করার পর থেকে ব্রীজের নিচ থেকে মাটি সরে গেলে বীজটি মাঝ খান থেকে ভেঙে দেবে যায়। সেই ভাবেই পড়ে আছে তার উপর দিয়েই যানবাহনসহ মানুষ চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। এবার যদি কোন রকম বর্ষা হয় তাহলে ব্রীজের নিচ দিয়ে যে স্রোত যাবে তাতেই ব্রীজটি ভেঙে পড়ে যাবে।এই ব্রীজটি নিয়ে অনেক সাংবাদিকরা নিউজ করেছে তাতে কোন কাজ হয়নি।
দেবগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, ব্রীজের নিচ দিয়ে ক্যানাল খনন করার সময় সাইড থেকে মাটি সরে গেছে যার ফলে ব্রীজটি দেবে গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইঞ্জিনিয়ার সবাইকে নিয়ে ব্রীজটি দেখানো হয়েছে ওখানে নতুন ব্রীজ হবে।ওই ব্রীজের উপর দিয়ে গাড়ি চলে না। মানুষ একটু হাটাহাঁটি করে।