- মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দঃ কাঁচা বাঁশের সাঁকো থরথর করে কাঁপে নিথুর মানব মনে ,কখন যে সাঁকোর বাঁশ পচবে সাঁকো নিজেই জানে , আশা একদিন হবে কালভার্ট এই সাঁকোর তলে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় নুরুমন্ডল পাড়া ও ইদ্রিস পাড়ার মাঝে পদ্মার শাখা নদীর উপরে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তন ঘটেনি আজও পর্যন্ত। এক সময়ের ৫ গ্রামের মানুষের চলাচলে এক মাত্র বাঁশের সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী বহুবারই ব্রিজ নিমার্ণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
জানাগেছে, বছর দুই আগে পদ্মার শাখা নদীর উপরে বাঁশের সাঁকোটি ১লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা খরচ করে সাবেক ৩নং ওয়ার্ড সদস্য সাঁকোটি তৈরী করেন তার মুত্যু পর। আবারও এলাকাবাসী মিলে জন প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় সাঁকোটি নতুন করে মেরামত করতে হয়।প্রতি দিন এই সাঁকো দিয়ে ৫ গ্রামের লোকজন চলাচল করেন। বেপারী পাড়া, নাছির সরদার পাড়া ,মালো ফকির পাড়া, শাহা বেপারী পাড়া ,ইদ্রিস পাড়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়–য়া শিশু কিশোরা সাঁকোটি দিয়ে পারাপার হয়। সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে গেছে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মো. মিলন মোল্লা বলেন, এই সাঁকোটি দিয়ে ৫ টি গ্রামে মানুষ চলাচল করে । বছর খানেক আগে একবার সাঁকোটি মেরামত করা হয়েছিলো । সাঁকো টির দু পাশের রাস্তা বর্ষার সময় ধসে পড়ে গেছে তার পরও সাঁকোটি বাঁশ জাগায় জাগায় পচে গিয়ে সাঁকোটি নরবরে হয়ে গেছে। এখন যদি মেরামত না করা হয় তাহলে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল রহমান মন্ডল বলেন, আমি উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যানের সাথে বসে আলোচনা করে বাশের সাঁকোটি সরিয়ে রাস্তাটি ঠিক করে স্থায়ীভাবে একটি ব্রীজ তৈরী করার চিন্তা চেষ্ঠা চলছে।