বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের মরাবিলা এলাকায় গড়াই নদীর পানি ভাঙ্গনকৃত বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে ৫টি গ্রামের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে আতঙ্কে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন মরাবিলা এলাকায় গিয়ে দেখাযায়, গড়াই নদীর মরাবিলা এলাকায় বেড়িবাঁধ ও পাকা সড়ক আগেই বিলীন হয়ে গেছে। গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ফসলী জমির উপর দিয়ে মাঠে পানি প্রবেশ করছে। এসময় মরাবিলা, চরঘিকমলা, বাকসাডাঙ্গী, কোনাগ্রাম, জামসাপুর এলাকার লোকজন দেখতে এসেছেন। করণীয় সম্পর্কে নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম, ইউপি সদস্য আবজাল হোসেনসহ বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এলাকার হাসান বিশ্বাস, নাদের আলী বিশ্বাস, পল্লী চিকিৎসক মুকুল হোসেনসহ অনেকেই বলেন, ইতিপুর্বে বেড়িবাঁধ ও পাকা সড়কসহ প্রায় ২শত বিঘা জমি নদীভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে। এখন মাঠে পানি প্রবেশ শুরু করেছে। এতে মরাবিলা, চরঘিকমলা, বাকসাডাঙ্গী, জামসাপুর, কোনাগ্রাম এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কখন যেন তলিয়ে যায়। ভেঙ্গে ফসলী জমি ও বাড়ীঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়। দ্রুত স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে ৫টি গ্রামের মানুষের রক্ষা করুন।
ইউপি সদস্য আবজাল হোসেন বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর মরাবিলা এলাকায় বেড়িবাঁধ ও পাকা সড়ক বিলীন হওয়ার পর ৩ বার চলাচলের সড়ক নির্মাণ করেছি। ৩বারই নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে যে অবস্থা দেখা দিয়েছে জরুরী ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে ৫টি গ্রাম বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ এলাকায় স্থায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম মাষ্টার বলেন, সকালে এলাকাবাসীর সাথে নিয়ে বৈঠক করেছি। যাতে মাঠে পানি প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য জরুরী ভিত্তি বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানাকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন,গড়াই নদীর মরাবিলা এলাকায় বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে, এ বিষয়ে চেয়ারম্যান অবগত করেছেন। আশা করছি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।