রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের মরাবিলা-কোনাগ্রাম এলাকায় গড়াই নদীর ভাঙ্গনে পাকা সড়ক ও বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হলেও ৩বছরেও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই। ফলে বাড়ী-ঘর, ফসলী জমি প্রতিবছরই নদীগর্ভে বিলীন হওয়াসহ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, গড়াই নদীর মরাবিলা এলাকায় সবচেয়ে ভয়ানক ভাঙ্গন প্রতিবছরই শুরু হয়। কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ার কারণে মানুষের ও যানবাহন চলাচলের জন্য পাকা সড়ক নির্মাণ করা হলেও গত ৩ বছর আগেই ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়েছে। নতুন করে বেড়িবাঁধ মেরামত বা নির্মাণ না করার কারণে চলাচলে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় প্রতিবছরই শুনি নদীতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলানো হয়। কিন্তু মরাবিলা এলাকায় এক ব্যাগও জিও ব্যাগ ফেলানো চোঁখে পড়েনি। প্রতিবছর বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিরা পরিদর্শন করে ছবি তুলে চলে যান। তবে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি এ এলাকার মানুষের। আমরা দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ ভাঙ্গন প্রতিরোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবী জানাচ্ছি। নদীতে যে ভাবে পানি বাড়ছে এ বছরও ব্যাপক ভাঙ্গনে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
স্থানীয় বাসিন্ধারা বলেন, প্রতিবছর যখন পানি বৃদ্ধি ও ভাঙ্গন শুরু হয় তখন জিও ব্যাগ ফেলানো হয়। তবে শতভাগ তো নয়ই প্রভাবশালী ঠিকাদার কাজ করায় ইচ্ছামতো কাজ করে চলে যায়। পানির সময় কাজ করলে তো জিও ব্যাগ গুনা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্ধা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা কোন ত্রাণ চাই না, আমরা মরাবিলা এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম মাষ্টার বলেন, নারুয়া ইউনিয়নের মরাবিলা এলাকায় পাকা সড়ক ও বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। আমরা নতুন করে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করলেও সেটিও ভেঙ্গে নদীতে চলে গেছে। এখন এ এলাকার মানুষের চলাচলের কোন সড়ক নেই। গড়াই নদীর ভাঙ্গনে মরাবিলা, কোনাগ্রাম, জামসাপুর, নারুয়া, সোনাকান্দর, বাঙ্গরদাহ এলাকায় প্রতিবছরই ভাঙ্গনের শিকার হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ করেছে। ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বাঁশের বেড়া নির্মাণ কাজ করে। এতে কিছুটা ভাঙ্গন প্রতিরোধ হয়েছে। তবে মরাবিলা এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের শিকার হলেও সেখানে কোন ভাঙ্গন প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
বালিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গড়াই নদীতে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ করা হয়েছে।