নেহাল আহমেদ। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে। ১৯৫৮ সালে অষ্টম শ্রেনিতে পড়া অবস্থায় তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। ওই বছর আইয়ুব খান পাকিস্তানে মার্শাল ল’ চালু করেছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতা চাচার সঙ্গে তিনি মার্শাল ল’ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।
১৯৬২-৬৩ সালে শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করেছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেন ঢাকা: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া মারা গেছেন। শুক্রবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টায় (নিউইয়র্ক সময় বিকেল ৪টা) তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ডেপুটি স্পিকারের ভাতিজা ফাহাদ রাব্বী সৈকত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, গত নয় মাস ধরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ডেপুটি স্পিকার। ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফজলে রাব্বী মিয়া।
এর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন। তবে ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম সংসদে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ সংসদেও একই দায়িত্ব পালন করছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া।