বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় জমির সীমানার প্রাচীর কেন্দ্র করে মাসুদ রানা (৪০) নামের এক প্রধান শিক্ষককে হয়রানি, চাঁদা দাবী ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ঐ শিক্ষক নিজেই বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী মাসুদ রানা স্বর্পবেতাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি নারুয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রাম গ্রামের মো: আব্দুল মোমিন এর ছেলে।
অভিযুক্তরা হলো- সদর ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত কেদাই সেখের ছেলে আজিজ সেখ (৫০), আব্দুল আওয়াল সেখ (৬০), আব্দুল আওয়াল সেখের ছেলে আফসার সেখ (৩০) ও আব্দুল বক্কার সেখের ছেলে মিরু সেখ (৩৫)।
মাসুদ রানা বলেন, বিবাদীগণ প্রতারক, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু। ২০১৮ সালে নারুয়া সড়কের ওয়াপদা থেকে কিছুটা দূরে বিবাদী আজিজ সেখের বাড়ীর পাশে আমি ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করি। জমি কেনার পর থেকেই সে আমার জমি অবৈধ দখলের চেষ্টা চালায় এবং আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকে। আমার জমি রক্ষা করার জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার উদ্যোগ নেই। আজিজ সেখ নিজের সুবিধার্থে সামান্য একটু জমি এওয়াজ করে আমার সাথে। এর জন্য নগদ টাকাও নেয়। পরবর্তীতে আমার ভবনের ভিত্তি সম্পন্ন হলে সে নানা ভাবে হয়রানী করে এবং নতুন করে টাকা দাবী করে। কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় সোমবার দুপুরের দিকে হঠাৎ আজিজের নেতৃত্বে ৪-৫ জন আমার সাবমার্সেবল পাম্প নিয়ে যায় ও জমির সীমানা প্রাচীর ভাঙতে থাকে। আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে বাঁধা দিলে তারা আমাকে প্রচন্ড মারধর করে এবং শাবল, লোহার রড দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তারা আমাকে জীবননাশের হুমকি দেয়। বর্তমানে আমি জীবন শংকায় আছি।
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত আজিজ সেখ মুঠোফোনে জানান, এ জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে । গত রোজা’র মাসের আগে থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে থানার এস আই বারেক এসে সমাধান করে দিয়েযান। মাসুদ রানা জমির বাউন্ডারী উঠিয়ে নিতে বলেন ,তিনি আজকাল করে আর বাউন্ডারী সরান না। আজ আমার ২ ভাইসতা (ভাইয়ের ছেলে) বাউন্ডারী সরাতে গেলে মাষ্টার মাসুদ রানা মোবাইলে লোকজন ডেকে আনার চেষ্টা করে । পরে আমাই দুই ভাইসতা তাকে দাবার দিলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাকে মারধর করা হয় নি বা চাঁদা চাওয়া হয়নি। আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মেয়ে মাস্টার। আমারা এমন পরিবারের লোক না যে কারো কাছে চাঁদা চাইতে যাব।
বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য এসআই রাজিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
msd/bk/rj