রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীতে চাঞ্চল্যেকর যুবদল নেতা এস এম শামসুল আলম বাবলু হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি, ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৪জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। সোমবার আড়াই টার সময় রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ মোঃ রুহুল আমীন এ রায় প্রদান করেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামী রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুরের মৃত নূরুদ্দোহার ছেলে মীর এনাম আলী বাচ্চু, ১নং বেড়াডাঙ্গার মোকাম মিয়ার ছেলে সানোয়ার রহমান জকিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আসামীদ্বয়ের মৃত্যু দণ্ডাদেশ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিনোদপুর লোকসেড এলাকার মৃত জামাল মিয়ার ছেলে ইয়াকুব, বিনোদপুর এলাকার বাবলু মিয়ার ছেলে রানা, কালুখালী থানার হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আকমল বিশ্বাসের ছেলে রশিদ, ১নং বেড়াডাঙ্গা (বাপ্পির বাড়ী সংলগ্ন) আজিজ দেওয়ানের ছেলে শাহিন, ১নং বেড়াডাঙ্গা ব্যাংক ছালামের বাড়ী সংলগ্ন আঃ আজিজ খানের ছেলে ফরহাদ হোসেন বাপ্পীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এসময় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বিনোদপুরের মৃত চুন্নু ভূঁইয়া ওরফে কোকিল মিস্ত্রির ছেলে খায়রুল, বিনোদপুর ক্যারেজের পিছনে রেলওয়ে কলোনীর এম, এ সাত্তারের ছেলে উজ্জল, বিনোদপুরের ফরহাদ মন্ডলের ছেলে আরিফ মন্ডল, আবুল কাশেম কুলির ছেলে আরিফকে অভিযোগের দায় থেকে খালাস প্রদান করা হয়। আদালতে রায়ের সময় সানোয়ার রহমান জকি, রানা, ফরহাদ হোসেন বাপ্পী পলাতক রয়েছেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবো। রাজবাড়ী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. উজির আলী শেখ বলেন, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট রাত ১২টার দিকে রাজবাড়ী শহরের আজাদী ময়দানে পালাগান শুনে বাড়ী ফেরার পথে বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার সাংবাদিক সানাউল্লাহর বাড়ীর সামনে এসএম শামসুল আলম বাবলুকে এলোপাথারী ভাবে গুলি করে। তার চিৎকারে পথচারী আশপাশের লোকজন সহ পুলিশ এসে তাকে পিকআপ গাড়ীতে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ মামলায় ২জনের ফাঁসি, ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৪জনকে খালাস প্রদান করেন। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।