রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট এলাকায় নিজবাড়ীর ঘরের জানালা দিয়ে গুলি করে শেখ সুমন সবুজ নামের ছাত্রলীগের এক নেতাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে আজিজুল ইসলাম যুবরাজ (২১)। গ্রেপ্তারকৃত যুবরাজ রাজবাড়ী সদর উপজেলার হাউলি জয়পুর এলাকার মোঃ আলমগীর হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সুমন হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী সদর থানার ওসি শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার সময় তার নিজ বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এর আগে এ হত্যা মামলায় পশু চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা শেখ ওরফে নিজাম (৩৪) নামে আরো এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে । গোলাম মোস্তফা শেখ রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোপালবাড়ী গ্রামের মোঃ দিরাজ আলী শেখের ছেলে।
গত ২৩ এপ্রিল ( রবিবার ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের শামসুল আলম শেখের ছেলে বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সুমন সবুজকে তার বাড়ীর জানালা দিয়ে ঘরের মধ্যে গুলি করে সন্ত্রাসীরা । ওই দিনই রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেখ সুমন সবুজ মারা যান।
এ সময় নিহত সবুজের বন্ধু সজীব শেখ গুলিবিদ্ধ হয়, তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নিহতের বাবা সামশুল আলম বাবু বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাজবাড়ীর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান খান বলেন, ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় জেলা পুলিশসহ গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যুবরাজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
ডিবির ওসি আরও বলেন, পূর্ব শত্রুতা,এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ঈদকে সামনে রেখে রিসোর্টে নৌকার ব্যাবসা নিয়ে দ্বন্দের কারনে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে ।