উজ্জল হোসেন, পাংশা: রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় মোবাইল ছিনতাই কারীকে আটকাতে গিয়ে ছিনতাইকারীর করা আঘাতে দাঁত হারিয়েছেন আঃ আজিজ কাজী (৩৪) নামের এক যুবক। এ ঘটনায় মোঃ শরিফ (২৫) নামে এক ছিনতাইকারী কে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা।
এসময় ছিনতাইকারীর পকেট থেকে ছিনতাইকৃত ০১টি VIVO এ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৬ হাজার টাকা। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী উপজেলার বাবুপাড়া ইউপির কুড়িপাড়া গ্রামের ছবিদুল কাজী এর ছেলে আঃ আজিজ কাজী বাদী হয়ে আটক কৃত মোঃ শরিফ ও পলাতক আসামী সোহেল প্রামাণিক (২৩) নামে ২ জনের নাম উল্লেখ করে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ০৮। আটককৃত শরিফ উপজেলার বাহাদুরপুর ইউপির হামিদ মোল্লার ছেলে। অপর পলাতক আসামী সোহেল একই ইউপির বলরামপুর গ্রামের জালাল প্রামাণিক এর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আহত আঃ আজিজ কাজী গত মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) আনুমানিক রাত ১০.৩০ এর দিকে পাংশা থানাধীন বাবুপাড়া ইউনিয়নের আমতলা মোড় থেকে তার নিজ ব্যবহৃত VIVO এ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোনের ফ্লাস লাইট জালিয়ে পায়ে হেটে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ঘটনাস্থল উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কের উপর পৌছালে রাজবাড়ীর দিক থেকে একটি মোটর সাইকেল যোগে ০২ জন ব্যক্তি পাশে এসে দারায়। মোটর সাইকেলের পিছনে বসে থাকা ১নং আসামী শরিফ তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিতে গেলে আঃ আজিজ বাধা প্রদান করেন। এতে আসামী শরিফ তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে মটরসাইকেলে উঠে পালিয়ে যেতে চাইলেও আজিজ পা ধরে টান দিলে সে পরে যায়। এমনাবস্থায় ১ম আসামী শরিফকে ঝাপ্টে ধরে বাচাও বাচাও করে চিল্লানি দিলে আসপাশের লোকজন এসে আসামী আটক করে পুলিশকে খরব দেয়। এবং অপর ২য় আসামী সোহেল প্রামাণিক মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যায়।
আরো জানা যায়, আসামীর করা আঘাতে আঃ আজিজ কাজীর মাড়ির একটি দাঁত সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় ও মারির ৪ টি দাঁত নরে যাওয়া সহ গুরুতর জখম হয়। এমতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রেফার করেন।
পাংশা থানা সূত্রে জানা যায়। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আটককৃত আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এবং অপর আসামী কে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।