গাজা উপত্যকা : দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধ থামাতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ আনীত একটি প্রস্তাবে শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো প্রদান করায় পাশ না হওয়ায় ইসরাইল শনিবার গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করেছে।
হামাস ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবটিতে মার্কিন ভেটোর নিন্দা জানায়। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা ১৭,৪৮৭ জন এবং নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
শনিবার মন্ত্রণালয় জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় ছয়জন এবং রাফাহতে পৃথক হামলাযয় পাঁচজন নিহত হয়েছে। খবর এএফপি’র।
ইসরায়েলি পরিসংখ্যান অনুসারে, হামাস গত ৭ অক্টোবর নজিরবিহীন হামলায় গাজা থেকে ইরাইলের সীমান্ত ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে প্রায় ১,২০০ জনকে হত্যা করে ও ১৩৮ জনকে জিম্মি করে।
এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলের পল্টা হামলায় গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সেখানে খাদ্য, জ্বালানি, পানি ও ওষুধের মারাত্মক অভাব বিরাজ করছে।
শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো একটি প্রস্তাব সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড রেজোলিউশনটি ‘বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন’ এবং এটি এগোতে পারবে না বলে নাকোচ করেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী হামাস সন্ত্রাসী সংগঠনের পতন রোধ করবে এবং গাজা উপত্যকায় শাসন চালিয়ে যেতে সক্ষম করবে।’
হামাস শনিবার যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব মার্কিন যুক্তরাষ্টে প্রত্যাখ্যানকে তাদের জনগণকে হত্যা এবং আরও গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলে দখলদারিত্বের সরাসরি অংশ্রগ্রহণ বলে নিন্দা করেছে।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাতায়েহ বলেছেন, এটি অপমানজনক এবং দখলদার রাষ্ট্রকে গণহত্যা, ধ্বংস ও বাস্তুচ্যুত করতে দেওয়া আরেকটি সুযোগ করে দেওয়া।
সূত্রঃ ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক)