নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন বাজারের হাটে বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করে সংসার চালান ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ হাবিব মিয়া ।
রাজবাড়ী শহরের আটাশ কলোনী এলাকায় তার বাড়ী । সংসারে তিন মেয়ে এক ছেলে সহ পাঁচ জনের সদস্য। জীবন যুদ্ধে ছোট কাল থেকেই তার এ পেশা ।
এ বয়সে মানুষ যখন বয়সের ভাড়ে লাঠি ভর করে কোন মতে হাটা চলা করতে পারে আবার কেউ ঘরে শুয়ে থাকে। কিন্ত বৃদ্ধ হাবিব মিয়া বয়সের ভাড় উপেক্ষা করে জীবীকার তাগিদে ছুটে চলেন নিজ জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন হাটের বাজারে। হাবিব মিয়া জানান, আমার বয়েসী অনেকেই মারা গেছেন। সংসার চালাতে পেশাকে ধরে রেখেছেন তিনি।
বিভিন্ন ধরনের তাবিজ, চিরুনী,নায়িকাদের ছবি লাগানো আয়না, ম্যাচ লাইট , মানিব্যাগ, ছোট বাচ্চাদের কমরের সূতা , আতর ,ছোট কেঁচি সহ বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রই হাবিব মিয়ার ব্যাবসার উপকরণ।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ব্যাবসার এ উপকরণ গুলো সুন্দর করে সাজিয়ে এভাবেই বসে থাকতে দেখাযায় বৃদ্ধ হাবিব মিয়াকে।
পছন্দের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কিনতে আসে অনেকেই। আবার অনেকেই দেখে চলে যান। হাবিব মিয়ার ভ্রাম্যমাণ ব্যাবসার দোকান দেখতেও এসে অনেকেই ভিড় জমায়। কারো কোন কিছু পছন্দ হলে কিনেও নেন ক্রেতারা।
হাবিব মিয়া বলেন, দীর্ঘ পঞ্চান্ন বছর ধরে আমার এ ব্যাবসা। সংসারের হাল ধরতে ছোট কাল থেকেই এ ব্যাবসা শুরু করেছি ,আর ছাড়া হয় নি। সংসারে এক ছেলে তিন মেয়ে । বাজারের বড় দোকান থেকে এ জিনিস গুলো কিনে রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন বাজারে যেদিন হাটের দিন থাকে সেখানে চলে যাই। প্রতিদিন হাজার খানেক টাকা বিক্রি হয়। শ তিনেক টাকা লাভ থাকে। অনেক আগে এ ব্যাবসায় ভালো বেচা কেনা হতো ,এখন অনেক কম হয়। তাবিজ , মানিব্যাগ, ম্যাচ লাইট, আয়না চিরুনি, কেঁচি ইত্যাদির প্রতি গ্রামের মানুষের চাহিদা এখনো আছে। মোটামুটি সংসার চলে। রাজবাড়ী জেলার বাইরে কুমার খালি কুষ্টিয়া, খোকসা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হাটের দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো নিয়ে যান।