খেলাধুলাঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট আকাশে যে কালো মেঘ জমেছিল, তা ধীরে ধীরে উড়ে যেতে শুরু করেছে। ঘটনাবহুল কয়েকদিনের ইতি ঘটতে এখন সময়ের অপেক্ষা। বেটউইনারের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনে সেটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শেষ মুহূর্তে আবার নাটকীয় কিছু না ঘটলে এই অলরাউন্ডারের কাঁধেই উঠছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্ব। এ ছাড়া যে আর কোনো উপায়ও নেই বিসিবি কাছে!
সাকিব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে বাংলাদেশে ফেরার ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব ঠিক থাকলে আজ রাত ২-৩টার মধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন তিনি। তবে বিশ্রামের বেশি সুযোগ পাচ্ছেন না। সকালেই তাকে বিসিবির কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মুখোমুখি হতে হবে। সেখানে বোর্ডকে না জানিয়ে বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তির কারণ দর্শাতে হবে সাকিবকে। তবে সেটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
এই আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে আরো একটি বিষয় যোগ হবে। তাকে শেষবারের মতো সতর্ক করা হবে বলে বোর্ড সূত্র থেকে জানা গেছে। এরপর তার অনুমতিক্রমেই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হবে। সাকিবের সঙ্গে বোর্ড পরিচালকদের সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দেশে থাকা দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন আর হাবিবুল বাশার।
এই বৈঠক শেষে ঘোষণা হবে আসন্ন এশিয়া কাপের স্কোয়াড। তবে অনুমিতভাবেই এই স্কোয়াডে জায়গা হারাচ্ছেন লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহান আর ইয়াসির আলি রাব্বি। তবে যদি-কিন্তু কিছুটা আছে সোহান আর রাব্বির ক্ষেত্রে। লিটন কোনোভাবেই আরব আমিরাতের বিমান ধরতে পারবেন না।
সোহানকে নিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের আলোচনা। ম্যানজেমেন্টের একটি অংশ চাইছে সোহানকে দলের সঙ্গী করতে। কারণ, দল ফাইনালে উঠনে ধরলে শেষ ২-৩টি ম্যাচের আগেই ফিট হয়ে উঠবেন এই উইকেটরক্ষক। তবে নির্বাচকরা ১৫ সদস্যের দলে সেই ঝুঁকি নিতে নারাজ। একই অবস্থা রাব্বির ক্ষেত্রে। বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগ যে ছাড়পত্র দিয়েছে, তাতে বর্তমানে ৫০ শতাংশ ফিট এই ব্যাটসম্যান।
এদিকে শঙ্কা থাকলেও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের কপাল সুপ্রসন্ন হতে পারে। সবশেষ ফিটনেস পরীক্ষায় ৪ ওভার টানা বল করে ৮০ শতাংশ ফিটের ছাড়পত্র পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার। এজন্য খুলনায় তাকে ম্যাচ প্র্যাকটিসে পাঠানো হয়েছেন। আজ এইচপি ইউনিটের বিপক্ষে বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে মাঠে নেমেছেন সাইফউদ্দিন। ফিটনেসে উতরে যেতে এই ম্যাচটিই হবে তার এসিড টেস্ট।
জিম্বাবুয়ে সফরে চোট পাওয়া শরিফুল ইসলাম এখন পুরোপুরি সুস্থ। মুস্তাফিজুর রহমানকে ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা সংশয় আছে বলে বোর্ড সূত্র থেকে জানা গেছে। এশিয়া কাপের দলে থাকলেও এই টুর্নামেন্টে বিশ্রাম দিয়ে খেলাতে হবে তাকে।
সবথেকে আলোচনার বিষয়টি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের থাকা, না থাকা নিয়ে। গুঞ্জন আছে, তাকে ছাড়াই ঘোষণা হতে পারে এশিয়া কাপের দল। তবে বোর্ডের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, সাকিব শেষপর্যন্ত অধিনায়ক হলে নতুন এই দলপতির চাওয়াতেই রিয়াদ স্কোয়াডে টিকে যাবেন। বেটউইনার কাণ্ডের আগে সাকিবের সঙ্গে নেতৃত্বের আলোচনায় রিয়াদ-মুশফিক দুইজনকেই নিজের টি-টোয়েন্টি দলে চেয়েছেন তিনি।
সোহান আরব আমিরাতে না গেলে সৌম্য সরকার আর সাব্বির রহমানের মধ্যে একজন ফিরতে পারেন জাতীয় দলে। সেক্ষেত্রে সৌম্যর পাল্লাটাই সবথেকে ভারি। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে উইন্ডিজ সফর করা সৌম্য আর সাব্বিরকে আপাতত স্ট্যানবাই হিসেবেই রাখা হয়েছে।
kkn/