রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ে প্রকৌশলী নিকট তথ্য চাইতে গেলে তথ্য না দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করেন প্রকৌশলী রাজস খান । একপর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের সার্টিফিকেটও দেখাতে বলেন। তাকে দেওয়া জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশের আলো নামে সৌজন্য পত্রিকাটিও তিনি ছিড়ে ফেলেন আর সেগুলো ফেলে দেন বাইরের ফ্লোরে । আর পত্রিকাটিতে পা দিয়ে মুড়ে ফেলেন।
ঘটনাটি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকিজনক বলে মনে করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম রাজবাড়ী শাখার সভাপতি ,বাংলাদেশ বুলেটিনের রাজবাড়ী প্রতিনিধি ও রাজবাড়ী জার্নাল এর সম্পাদক সাংবাদিক কবির হোসেন।
তিনি বলেন প্রকৌশলী রাজস খানের কাছে বুধবার (১৬ই অক্টোবর) বিকেলে তার অফিসে গিয়ে উন্নয়ন মূলক কাজের তথ্য চাইতে গেলে তথ্য না দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করেছেন । এ সময় বাংলাদেশের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি রাসেল মিয়া, দৈনিক দেশ বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি বাবলু শেখ, বাংলাদেশ বুলেটিন এর রাজবাড়ী প্রতিনিধি ও ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার কবির হোসেন সড়ক ও জনপথ (সড়ক বিভাগ) কার্যালয়ে যান।
কবির হোসেন বলেন, আগেরদিন ২-৩ বার ফোন করা হয় প্রকৌশলীকে, পরের দিন একাধিকবার ফোন করা হয় সরকারি নাম্বারে ,কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। সড়ক ও জনপথ (সড়ক বিভাগ) কার্যালয়ে যাবার পর প্রকৌশলী রাজস খান সাংবাদিকদের দীর্ঘসময় বসিয়ে রেখে অফিসিয়াল কার্যক্রম করেন,পরে সময় চেয়ে কথা বলার অনুমতি নিয়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী রাজস খান কোন তথ্য দিতে রাজী হন না , বরং সাংবাদিকদের সার্টিফিকেট দেখতে চান, কে কত সালে পাশ করেছেন , কোথায় পড়াশোনা করেছেন বলে সাংবাদিকদের হেয় প্রতিপন্ন করেন। পত্রিকাটি পর্যন্ত ছিড়ে ফেলেন তিনি। পা-দিয়ে মুড়ে ফেলেন বাইরে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্ধার্থ ভৌমিককে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান সাংবাদিক কবির । তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করতে পরামর্শ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৮ই মে তিনি রাজবাড়ীতে যোগদান করেন প্রকৌশলী রাজস খান । সড়ক ও জনপথের ঢাকা কার্যালয়ে এসডি পদে ছিলেন। পদন্নতি পেয়ে রাজবাড়ীতে যোগদান করেন রাজস খান।
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগে নানা অনিয়মের তথ্য রয়েছে বলে জানা গেছে, সেগুলো তথ্য অধিকার আইনে চাওয়া হবে বলে জানান সাংবাদিক কবির হোসেন।