Monday, November 18, 2024

তথ্য প্রযুক্তি খাতে আগামী ৫ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১০ লাখ স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে : অর্থমন্ত্রী

সংসদ ভবন, ৬ জুন,২০২৪ (বাসস) : অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য প্রযুক্তি খাতে আগামী ৫ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১০ লাখ স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এই  খাতে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে।
আজ বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরো বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, রোবোটিক্স, সেমিকন্ডাক্টর, ইলেকট্রিক ভেহিকেল, স্পেস ও জিওস্পেশিয়াল প্রযুক্তিসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্ল¬বের প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি-ভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, আইসিটি খাতের রপ্তানির পরিমাণ আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৫ বিলিয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হবে। এ খাতের অংশীজনদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিটি সেক্টরে স্মার্ট হয়ে ওঠার মানদন্ড তৈরির পাশাপাশি তৃণমূলসহ দেশব্যাপী উদ্ভাবন ও গবেষণাকে উৎসাহিত করতে পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের ফলে গত ১৫ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ইন্টারনেটের মূল্য অনেক কমিয়ে ওয়েবভিত্তিক কর্মসংস্থান ও ব্যবসার সুযোগ প্রসারিত করা হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিএস ফিক্সড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ এর সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ২৭ হাজার টাকা, বর্তমানে মাত্র ৬০ টাকা। গ্রামীণ জনপদে এর সুফল পৌঁছে দেবার জন্য স্বল্পমূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। মোবাইল ফাইনান্সিয়াল ওয়ালেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ১২ কোটির ওপরে। সারাদেশে ৯ হাজারের অধিক ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের অধিক উদ্যোক্তা, যাদের ৫,৩৪৪ জন নারী, এবং সাড়ে আট হাজার পোস্ট ই-সেন্টারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারছেন। এছাড়া যে কোন স্থান থেকে যে কোন সময়ে সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২৪০০ এর অধিক সেবাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় এর গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের ৪০ লক্ষ হতে বৃদ্ধি পেয়ে জানুয়ারি ২০২৪ শেষে প্রায় ১২ দশমিক ৯২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ডেনসিটি ৭৫.১২ শতাংশ-এ উন্নীত হয়েছে যা ২০০৮ সালে ছিল মাত্র ২.৭ শতাংশ।’

 

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here