নেহাল আহমেদ,রাজবাড়ীঃ রাজবাড়ীতে অল্প পুঁজিতে বেশী লাভের আশায় ক্ষতিকর তামাক চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষকেরা । এতে কৃষিজমির উর্বরতা কমছে তেমনি ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। আর তামাক চষ করা জমিতে অন্য ফসলের উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্পসারনের হিসাব অনুযায়ী এ বছর রাজবাড়ীতে তের হেক্টর জমিতে তামাক পাতা চাষ হচ্ছে। আগের বছর যা ছিলো ২০ হেক্টর।
সরে জমিনে দেখা যায় রাজবাড়ী জেলার কমবেশি প্রতিটি উপজেলাতে চাষ করা হচ্ছে তামাক চাষ। এ বিষয়ে কথা হয় রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণের প্রশিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামানের সাথে। তিনি জানান, বিধি নিষেধ না মেনে জীবনের ঝুঁকি জেনেও তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে রাজবাড়ীর কৃষকরা। অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় বিভিন্ন তামাক কোম্পানির নিকট স্বল্প লাভে এবং শর্ত সাপেক্ষে ঋণ নিয়ে তামাক চাষ করছে কৃষকরা। তামাকের নিকোটিন শরীরে প্রবেশ করে নানাবিধ রোগে আক্রান্তের পরও থেমে নেই উপজেলা অনেক কৃষক।’
বিশেষ করে রাজবাড়ী সদর, কালুখালি,বালিয়াকান্দি মিজানপুর ব্যাপক হারে তামাকের চাষাবাদ লক্ষ করা গেছে।
মিজানপুর ইউনিয়নের গঙ্গা প্রসাদপুর এলাকার তামাক চাষী আকবর আলী জানান, অল্প খরচে তামাক চাষাবাদে চারগুণ লাভ হয়। এক বিঘা জমিতে তামাক চাষাবাদে ৫ হতে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। যদি ফলন ভাল হয়, তাহলে এক বিঘা জমির তামাক ৫০ হতে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। বর্তমান বাজারে প্রতিমন তামাক গ্রেড অনুয়ায়ী ৩ হাজার হতে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, বিভিন্ন তামাক কোম্পানি তামাক চাষাবাদের জন্য কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ বিতরণ করছে। তামাক আবাদ করে, টাকা অথবা তামাক দিয়ে টাকা পরিশোধ করতে পারবে।
মনিরুল ইসলাম নামে আরেক কৃষক জানান, দীর্ঘদিন থেকে তামাক পরিচর্যার কাজ করে আসছি। প্রতিদিন তামাক খেতে ওষুধ দিতে হয়,পরিচর্যা করতে হয়। বানীবহ বাজারের তামাক ব্যবসায়ী সেকেন্দার মিয়া জানান, জেলার বাহির থেকে বিভিন্ন মহাজন এসে তামাক ক্রয় করে নিয়ে যায়। তবে আগের চেয়ে এখন তামাকের চাষাবাদ অনেক কমেছে।
তবে রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্পসারনের প্রশিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামানের জানিয়েছেন, তামাক চাষাবাদ এখন অনেক কমে গেছে। কৃষি অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ কৃষকদের মাঝে তামাক চাষাবাদে নিরুৎসায়ী করছে। কিছু সংখ্যক কৃষক তামাক চাষাবাদ করে আসছে। আশা করা যাচ্ছে আল্প সময়ের মধ্যে জেলায় তামাক চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।