Tuesday, December 24, 2024

দরিদ্র পরিবারে যমজ তিন সন্তান জন্ম নেওয়ায় বিপাকে ববিতা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে একই সাথে জমজ তিনটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন হত দরিদ্র পরিবারের গৃহবধু মোছা. ববিতা বেগম (২৮)।

ফুটফুটে তিনটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়ে পরিবারে আনন্দের আমেজ বিরাজ করলেও তাদের লালন-পালন ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত ব্যায়ের কারণে বিপাকে পড়েছেন ববিতা ও তার পরিবার।

হতদরিদ্র গৃহবধু ববিতা বেগম গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শাহাদত মেম্বার পাড়ার দিনমুজুর মো. কিরণ মুন্সির স্ত্রী।

সরেজমিনে জানা যায়, নদী ভাঙ্গনে সহায়-সম্বলহীন ববিতা কিরণের পরিবার এসে আশ্রয় নেয় দৌলতদিয়া শাহাদত মেম্বার পাড়া। সেখানেই তিন শতাংশ জমি লীজ নিয়ে গড়ে তোলেন ছোট্ট একটি বসত বাড়ি। জীবন ও জীবিকার তাগিদে কখনো হকারী, কখনো বা দিনমুজুরের কাজ করে কোনমতে চলছিলো ৭বছর বয়সি একটি ছেলেকে নিয়ে তাদের অভাবের সংসার। এরিমধ্যে তাদের ঘর আলো করে একই সাথে জন্ম নেয় আরো তিনটি পুত্র সন্তান। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া ওই তিন শিশু- তামিম, তাছিন ও তানজিল এর লালন-পালন ও চিকিৎসা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে গেলে আশ্বাস মিললেও, মিলেনি কোন সহযোগিতা। এমতাবস্থায় পরিবারটি পরেছেন চরম বিপাকে।

স্থানীয়রা জানায়, পরিবারটি খুবই অসহায় হয়ে পরেছে। এমনিতেই ৩জনের সংসারে অভাবের শেষ ছিলোনা তার উপর আরো যমজ তিনটি শিশু সন্তান নিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পরেছেন। আশেপাশের লোকজন যে যতটুকু পারছে সহযোগিতা করছে কিন্তু এভাবে কয়দিন চলবে। সরকারী ভাবে যদি এদেরএকটু সহযোগিতা করা যেতো তাহলে খুবই ভালো হতো।

তিন সন্তান জন্ম দেয়া গৃহবধু ববিতা বলেন, নভেম্বর মাসের ৪ তারিখে আল্লাহ্ আমার কোলজুড়ে ফুটফুটে তিনটি পূত্র সন্তান দিয়েছেন। এই তিনটি সন্তান লালন-পালন করতে গিয়ে ধারদেনা করে আমরা খুব বিপদের মধ্যে আছি। তিনটি সন্তানের জন্য প্রতিদিন একটি ল্যাকটোজেন ওয়ান ও মিসরি লাগে যার দাম প্রায় সাড়ে ৬শ টাকা। এর উপর আবার আমাদের নিজেদেরও তো পেট আছে। আমার স্বামী দিনমুজুরের কাজ করে প্রতিদিন আয় করে ৪শ থেকে ৫শ টাকা। যার কারণে প্রতিদিনই কারো না করো কাছ থেকে ধারদেনা করে ওদের খাবার যোগাতে হয়। এভাবে আর কয়দিন চলবে। সরকার, চেয়ারম্যান মেম্বারসহ বিত্তবানরা যদি আমাদের একটু সহায়তা করতো তাহলে এই শিশু সন্তানদের লালন ভালভাবে করতে পারতাম।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুল হক খান মামুন বলেন, এক সঙ্গে তিনটি শিশু জন্ম নেওয়ার বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে অবগত হলাম। প্রথমে নতুন অতিথি যারা আসেছেন তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছি। তারা যেন সু-নাগরিক হিসেবে বড় হয়ে ওঠে। এবং পরিবারের যারা বাবা-মা আছেন তাদেরকেও অভিনন্দন জানাই। আজকের শিশু আগামি দিনের ভবিষ্যৎ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে এই শিশুদের বড় হয়ে ওঠার জন্য আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। এবং আপনাদের সাথে নিয়েই করবো।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here