রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ী-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কল্যাণপুর এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে, এতে এক পোশাককর্মীর হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তাকে রাজবাড়ী সদর হাঁসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল হাঁসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে এছাড়াও আহত হয়েছেন ১৫ জন।
৪ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেল তিনটার দিকে সদর উপজেলার কল্যাণপুর এলাকায় কুষ্টিয়া থেকে দৌলতদিয়াগামী পদ্মা-গড়াই ও অপর প্রান্ত থেকে আসা রাজধানী পরিবহনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাজবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি ও বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর গ্রামের আনসার বিশ্বাসের মেয়ে ঢাকার সাভারের পোশাককর্মী সাহিদা বেগম (৩০), আল্লার দরগা এলাকার মাসুদ রানা (৪৫), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী রেশমা (৩০), একই গ্রামের ইউসুফের স্ত্রী জুলেখা (৫৫)। এদের মধ্যে থেকে গার্মেন্টসকর্মী সাহিদা বেগমের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পদ্মা-গড়াই বাসের যাত্রীরা জানান, কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা পদ্মা-গড়াই বাসটি দৌলতদিয়া যাচ্ছিলো। এসময় কল্যাণপুর এলাকায় আসলে রাজধানী পরিবহনের সাথে সাইড দিতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হন।
ডানহাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া গার্মেন্টসকর্মী সাহিদা বেগম জানান, তিনি সাভারে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ঈদের ছুটি শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. শারমিন জাহান জানান, হাসপাতালে এ পর্যন্ত পাঁচজন রোগীকে ভর্তি করানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ীর’র আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, দুই বাসের সংঘর্ষের পর স্থানীয় লোকজন সড়ক অবরোধ করলে তাদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বাস দুইটি আটক করা গেলেও চালকরা পালিয়ে গেছেন।”